Attention: This post will be fully in Bengali. Please click on translate to English for the translation.
পরিচয় হলো এক মিষ্টি বোনের সঙ্গে, যার দীক্ষা প্রাপ্ত নাম "চিন্তামণি"।
কোনভাবে তার গন্তব্যস্থানের ট্রেনের খোঁজ করতে করতে আজ দুপুরে এসে পড়েছিলেন শিয়ালদহ সাউথ সেকশন এর ১৬ নং প্লাটফর্মে। ঘড়িতে তখন সময় দুপুর ২.৩৯
আমি...
more... তখন বজবজ লোকালে সবে উঠে সিটে বসতে যাবো পার্ক সার্কাস যাবো বলে। হঠাৎ দেখি, এক বিদেশিনী কন্যা আমাদের লোকাল ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা কিছু নিত্যযাত্রী দের ইংরেজিতে জিজ্ঞাসা করছেন যে এই ট্রেনটা নবদ্বীপ যাবে কিনা? তারা সবাই বললেন, "না"। এবার উনি যখন জানতে চান যে উনি কি ভাবে নবদ্বীপ যাবেন, তখন লক্ষ্য করলাম, এরা কেও ওনাকে মৌখিক ভাবে সাহায্য করা তো দূর বরং ওনার পোষাক দেখে হাসাহাসি করছেন, আর যারা এগুলো করলেন তারা কিন্তু ট্রেনের লেডিস কামরার দরজায় বসে থাকা মানুষজন একেবারেই নন। এই দৃশ্য দেখে রাগ আর দুঃখ দুটোই হলো...
যাইহোক, একমুহুর্তও দেরী না করে আমি নেমে পরি ট্রেন থেকে। ওনাকে ডেকে কথা বলি ও জানতে পারি যে উনি সুদূর ক্যালিফোর্নিয়া থেকে কোলকাতা এসেছেন আমাদের বাংলার নবদ্বীপ ও মায়াপুর দর্শনের জন্যে। সঙ্গে এটাও জানান যে উনি একজন কৃষ্ণভক্ত। ঘড়িতে তখন দুপুর ২.৪০, আমি ওনাকে কৃষ্ণনগর লোকালে উঠে কি করে নবদ্বীপে পৌঁছতে পারবেন, সেটা সংক্ষেপে জানাই। কিন্তু উনি গুগুল সার্চ করে আমায় জানান যে লোকাল ট্রেনে নয়, উনি যাবেন তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেসে, কারণ ওটা ডিরেক্ট নবদ্বীপ হয়ে যায়।
ওনাকে বলি, ১২ নং প্লাটফর্মে ট্রেন দেওয়া হয়েছে। এবার চিন্তমণি আমাকে জানান যে ওর কাছে প্ল্যাটফর্ম টিকিট আর ট্রেনের রিজার্ভেশন টিকিট কোনোটাই নেই।
সঙ্গে আবার রসিকতায় ভরা মিষ্টি হাসিতে বলে, "দিদি, আমি বেশী বাংলা জানিনা। এখন কি করবো?" ইতিমধ্যে ঘড়িতে তখন দুপুর ২.৪৮ আর তিস্তা ছাড়বে ঠিক দুপুর ৩.০০টের সময়। একমুহুর্ত আর দেরী না করে ওনার হাত ধরে দৌড়তে থাকি টিকিট কাউন্টারের দিকে। আর ওনাকে বলি এখন আর কোনো কথা বোলোনা। সোজা লেডিস টিকিট কাউন্টারে অনলাইন পেমেন্ট করে নবদ্বীপ যাওয়ার জেনারেল টিকিট কাটি আর ওনাকে নিয়ে আবার দৌড় লাগাই ১২নং প্লাটফর্মের দিকে। গিয়ে দেখি ট্রেনের লেডিজ কম্পার্টমেন্টে পা রাখার মতো জায়গা নেই। জেনারেল কম্পার্টমেন্টেও তিল ধারণের জায়গা নেই। এমন অবস্থা হলো যে কোনো T T E সাহেবদের দেখাও পেলামনা। অবশেষে কোনো উপায়ান্তর না দেখে সোজা ট্রেনের গার্ড সাহেবের দ্বারস্থ হই, সবটুকু সংক্ষেপে খুলে বলি ওনাকে। উনিও এক মুহুর্ত সময় নষ্ট না করে সাথে সাথে নিজে চিন্তামণিকে নিয়ে যান ট্রেনের হ্যান্ডিক্যাপ কম্পার্টমেন্টে। ওখানে গিয়ে উনি চিন্তামণির সিটে বসার ব্যবস্থা করে দিতে চাইলে চিন্তামণি ওনাকে বলেন, "এই জায়গা যাদের জন্যে সেখানে তারাই বসুন। তোমরা আমার জন্যে যা করলে সেটা আমার চিরজীবন মনে থাকবে। আমাকে শুধু একটু নীচে বসতে দাও, তাহলেই হবে । আমার সত্যিই জানা ছিলোনা যে তোমরা ভারতীয়রা এতো দয়ালু।"
ইতিমধ্যে আমি ওর হাতে দু বোতল ঠান্ডা জল আর একটু মিষ্টি কিনে দিয়ে দেই। উনি আমায় টাকা অফার করেন, তখন আমি ওনাকে জানাই, আমাদের ভারতীয় ঐতিহ্যে আমরা অভ্যাগতদের অতিথি বলে সম্মান দিয়ে থাকি। 'অতিথি দেব ভব'-র অর্থটাও খুব সংক্ষেপে বলি। ওকে জানাই, আমাদের দেশে অতিথিরা ঈশ্বরের মতো। ও আনন্দে আবেগে আপ্লুত হয়ে যায়। আমি ট্রেন থেকে নামার আগে ও আমায় জড়িয়ে ধরে বলে,"দিদি,আজ শুধু তোমার জন্যে আর গার্ড বাবুর জন্যে আমি গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর দর্শনে যেতে পারছি।" চিৎকার করে ওই ভিড়ের মাঝে আনন্দে বলে ওঠে, "জয় মহাপ্রভু, am comming." আমাকেও বারবার মায়াপুরে যাওয়ার অনুরোধ জানায়। এও জানায় যে ও solo traveller. আরও বলে, "আজ থেকে আমি জানলাম, ভারতবর্ষে আমার একটা দিদি আছে।" একটা সেলফি তোলার অনুমতি চায়। এদিকে সেলফি তোলা হতে না হতেই ট্রেন ছাড়ার বাঁশী বেজে ওঠে...গার্ড বাবু বেশ হেসে জোরে বলে উঠলেন, "চিন্তা করবেননা ম্যাডাম, আমি বিকেল ৫.১৬তে ঠিক ওনাকে নবদ্বীপে নামিয়ে দেবো।"
ট্রেন প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে না যাওয়া অব্দি চিন্তামণি হাত নেড়ে গেলেন। আমি আবার গুটি গুটি পায়ে চললাম শিয়ালদহ সাউথ সেকশনের ট্রেন ধরতে...
সত্যি বলতে ওই ২০-২২টা মিনিট যে কিভাবে কেটে গেলো বুঝতেই পারলামনা। বিশ্বাস করি, সবটুকুই ঈশ্বরের আশীর্বাদ।
এই একটু আগে চিন্তামণি আমাকে ফোন করে জানালেন যে ও ভালোভাবে পৌঁছে গেছে নবদ্বীপে।
খুব ভালো থাকুন চিন্তামণি, খুব ভালো থাকুন গার্ড সাহেব। সঙ্গে বেঁচে থাকুক আমাদের ভারতীয় সভ্যতা,সংস্কৃতি। বেঁচে থাকুক মানুষ হয়ে মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।🙏🙏🙏
#ilovemyindia #loveindia #loveindianrailwayText and pic credit: Sudeshna Sen Chaudhuri.
please wait...Translate to EnglishHey guys, I gotta tell you about this sweet chick I met named "Chintamani". So, I was on my way to find the train heading to her destination, at around 16th platform of the Sealdah South Section in the afternoon. The time was 2.39 on the clock.
I was about to grab a seat on the local train to Park Circus, when suddenly I saw this foreign chick standing at our local train door and asking some regular travelers if this train goes to Nabadwip. They all were like, "No way." Then when she wanted to know how to get to Nabadwip, I noticed they were not really helping her out but making fun of her outfit instead of giving her directions. The ladies compartment of the train was occupied by some people who definitely weren't welcoming.
Seeing this whole scene made me feel both mad and sad. Without wasting a minute, I got off the train. I spoke to her and found out she's come all the way from California to Kolkata for visiting our place of Nabadwip and Mayapur. I also learned that she's a devotee of Lord Krishna. It was 2.40 on the clock when she asked me how to get to Nabadwip from Krishna Nagar local train. I briefly explained to her that she won't get there on the local train; she should take the Tista Torsha Express as it goes directly to Nabadwip.
I told her the train leaves from platform 12. Chintamani then informed me that she didn't have a platform ticket or a reservation ticket for the train. As we were chatting, she in a sugary tone asked, "Sis, I don't know much Bengali. What should I do now?" Meanwhile, the train was leaving the station at 2.48, and Tista would depart right at 3.00. Without wasting a moment, I held her hand and ran towards the ticket counter. I then told her not to worry anymore. I booked a general ticket for Nabadwip online from the ladies ticket counter and grabbed her hand, taking her towards platform 12. Upon reaching there, we realized there was no space in the ladies compartment nor in the general compartment. Even after hailing for a TTE, we couldn't find anyone. Finally, without any alternatives left, I guided her to the train guard, opened up about our situation, and he kindly allowed us to travel to Nabadwip in the train's handicapped compartment.
Once inside, she settled down and wanted to help make arrangements for her seat. Chintamani sweetly said, "Let those who deserve this place occupy it. Whatever you did for me today will be unforgettable. Just let me sit down a bit lower, that's all I need. I really never knew that Indians are so kind-hearted." By then, I handed her two bottles of cold water and some sweets. She offered me money, but I explained to her the tradition of treating guests with respect in our Indian culture. She smiled with joy and gratitude. As I was about to leave the train, she held my hand and told me, "Sis, today I can go for the darshan of Lord Gauranga Mahaprabhu only because of you." With a cry of excitement in the crowd, she exclaimed, "Victory to Mahaprabhu, I'm coming." She requested me multiple times to visit Mayapur again, mentioning she travels solo. She expressed her joy by reflecting, "Now I know, my sister is in India." She even wanted to take a selfie together. Just as we were about to take it, the train blew its whistle, signaling departure. The guard chuckled and assured us that he would safely take her to Nabadwip by 5.16 pm. Saying our goodbyes, Chintamani walked ahead. I turned back, filled with mixed emotions, and headed towards the Sealdah South Section to catch the train...
I still can't figure out how those 20-22 minutes went by. Truly, I believe it's all by the grace of God.
Some time before, Chintamani called me to let me know she had safely reached Nabadwip.
All the best, Chintamani, and have a great time there. Stay safe, guard sahib. Long live our Indian civilization and culture. Long live with respect and love towards fellow human beings. 🙏🙏🙏
Text and pic credit: Sudeshna Sen Chaudhuri.
