Spotting
 Timeline
 Travel Tip
 Trip
 Race
 Social
 Greeting
 Poll
 Img
 PNR
 Pic
 Blog
 News
 Conf TL
 RF Club
 Convention
 Monitor
 Topic
 #
 Rating
 Correct
 Wrong
 Stamp
 PNR Ref
 PNR Req
 Blank PNRs
 HJ
 Vote
 Pred
 @
 FM Alert
 FM Approval
 Pvt

RailCal app

site support

Vivek Express: ऊंचे नीचे रास्ते और मंज़िल तेरी दूर.

Search Forum
Filters:
Page#    19 Blog Entries  next>>
General Travel
91154 views
4

May 07 2021 (01:17)   22387/Black Diamond Express | HWH/Howrah Junction (23 PFs)
SAPTARSHI^~
SAPTARSHI^~   26388 blog posts
Entry# 4956123            Tags   Past Edits
প্রত্যেক মঙ্গলবার হাওড়া স্টেশনে আমার এক হৃদয়বিদারক অভিজ্ঞতা হয়। ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকে ময়লাটে ব্ল্যাক ডায়মণ্ড এক্সপ্রেস। তাতে উঠে কয়লার গুঁড়োর ম্যারিনেশনে হাফবয়েল ডিম হয়ে রানিগঞ্জ পোঁছুতে সাড়ে নটা বেজেই যায়৷ কিন্তু হাওড়ায় প্রায় তার ই গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকে রাঁচীমুখী শতাব্দী এক্সপ্রেস। ঝাঁ চকচকে স্মার্ট কর্পোরেট যুবার মতোন হাবভাব তার। মায় তার জানলাগুলোও ব্ল্যাকের থেকে উঁচুতে। স্রেফ দু'ঘন্টায় রানিগঞ্জ পৌছুয়। সুন্দর নীলচে গদিওয়ালা সীট গুলো আমাকে নিশির ডাকের মতোন ডাকে। আমি বিশ্রী ছোটো অপরিসর সীটে বসে বসে ভাবি একদিন আমিও শতাব্দী চড়ে রানীগঞ্জ যাব৷ কিন্তু ভাড়া চার-পাঁচ গুণ বেশি হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই আজ অব্দি টিকিট কেটে উঠতে পারিনি। সাধ আর সাধ্যের তফাত বোঝা হয়ে যায় আরো একবার। মনে মনে ডি.এ পে.কমিশন ইত্যাদি কে খানিক কষিয়ে গালমন্দ করে নি৷ যদিও এটাও জানিযে মাইনে বাড়লেও ৬০০ টাকা ভাড়া দিয়ে দু'ঘন্টা ট্রেন জান্নি পোষাবে না! -_-
...
more...

সে যাই হোক...ইদানিং শতাব্দী চড়তে না পারার হতাশা থেকে আর ও দিকে যেচে তাকাই না বড়৷ আজ ঝিমুতে ঝিমুতে ব্ল্যাক ডায়মন্ডে নিজের সীটে বস্লুম৷ হঠাৎ দেখি সামনে এক ফর্সা আর হ্যান্ডসাম হিরো মাফিক লোক আমার দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেসে দিলে৷ তারপর দেখি সে মক্কেল জানলার দিকে তাকিয়ে বেজায় খুশি হয়েছে। হাত নেড়ে নেড়ে ওদের ভাষায় কিসব বলছে। আমিও তাকিয়ে দেখি পাশের প্ল্যাটফর্ম এ গা ঘেঁষে হতচ্ছাড়া শতাব্দী দাঁড়িয়ে৷ আর ওই ট্রেনে আমাদের জানলার পাশাপাশি বসেছে আরেক ফুটফুটে হিরোইন৷ সেও তার মায়ের কোল থেকে আরাধনার শর্মিলার মতোন লাজুক লাজুক হাসছে আর হাত নাড়ছে। দুই বেয়ান অবশ্য ব্যাপার টা কেমন ভাবে নিচ্ছে বোঝা যাচ্ছিল না। জাত ধর্ম স্টেটাসে কী আর শতাব্দী আর ব্ল্যাক ডায়মণ্ডের মিল হয়!! কিন্তু আমি এদের নীরব প্রেম কাহিনী টা পড়ে ফেলায় হিরো ভারী বিরক্ত হয়েছে আমার ওপর৷ আর হাসছেনা। :/ নআ হাসুক গে। প্রেমিকার বিদায়ে কেঁদেকেটে না জ্বালালেই হল -_-

By Mayurakshi Das click here
#banglaGolpo Series

Translate to English
Translate to Hindi
Rail Fanning
29746 views
5

Dec 29 2020 (14:07)   KGP/Kharagpur Junction (12 PFs)
SAPTARSHI^~
SAPTARSHI^~   26388 blog posts
Entry# 4827045            Tags   Past Edits
💠।। পুরোনো কবিতায় খড়গপুরের গড়ে ওঠা ।।💠
একসময় কৌশল্যার লোককবি লক্ষণচন্দ্র নাটুয়া খড়গপুরে বি. এন . আর - এর রেলস্টেশন তৈরি নিয়ে একটি কবিতা লেখেন ।
নীচে তার কিছুটা দেওয়া হল ।

"
...
more...
প্রভু খড়্গেশ্বর , খড়্গপুর সহর
করলেন মনোহর , থেকে খড়্গপুরে ।
বাবার মহিম অপার , করতে খড়্গপুর প্রচার ,
দিলেন কার্যের ভার বি.এন.আরে ধরে ।।
....
যেই স্থানে পূর্বেব ছিল শালবন ,
সেখানে করলেন পুষ্পের কানন ,
জাতি যুথী , আদি পুষ্প অগণন ,
গন্ধে প্রাণ মন আনন্দিত করে ।।
....
পর্ণের কুটির ছিলনা যেখানে ,
দোতলা তেতলা করালেন সেখান
তথা দিবা রাত্রি জ্বলছে বিজলি বাতি ,
ইলেকট্রিক ফান ঘুরছে প্রতি ঘরে ।।
....
কালকাটি গ্রামে বাস ছিল মজার ,
তুলে নিয়ে তথা করলেন গোলবাজার ,
....
লক্ষণ চন্দ্র ভনে , স্টেশন আদি যথা ,
পঁয়ত্রিশ শত বিঘা মালিক ছিলেন পিতা ,
বি . এন . আর গ্রহীতা , পিতা হয়ে দাতা ,
বিশ হাজার টাকায় দিলেন বিক্রি করে ।। "

শেষের চার লাইন থেকে আক্ষেপ ঝরে পড়ছে বোঝা গেল । পিতৃপুরুষের জমির ওপর বসল জংশন ।
বন কেটে স্টিলের চাদরে মোড়া হল খড়্গপুর কে ।
বি.এন.আর এর রেলনগরী তৈরির সময়ের একগুচ্ছ দৃশ্য রয়েছে কবিতায় ।
নীচের প্রথম ছবিটি 1910 সালের খড়গপুর স্টেশন ।।


💠।। খড়গপুর দমদমা: দুটি টিলার কথা ।।💠

1898 সালের December এ রেলের Map এ Junction station হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে খড়গপুর।
কিন্তু, তার আগে ??
তার আগে অর্থাৎ steel এর পাত বসানোর আগে , যখন B.N.R এর দুজন Mechanical Engineer রিচার্ডস ও ওয়াটসন সাহেব এর পাশাপাশি তাঁবু পড়ল দমদমার কাছে?
দমদমা কথার অর্থ টিলা বা উঁচু ঢিপি ।
দুটি পাশাপাশি টিলা ছিল সেই সময় এই জায়গাটিতে তাই নাম দমদমা ।
চল্লিশ ফুট মতো উচ্চতা ।
ছোটনাগপুরের শেষ চিহ্ন। এখান থেকে ভূপ্রকৃতি রুক্ষ লালমাটি ছেড়ে উর্বর হতে শুরু হয়েছে হাওড়ার দিকে এগিয়ে গেলে ।
দমদমা জায়গাটি বনজঙ্গলে ঘেরা ছিল ।
তবে টিলা দুটোর ওপর গাছপালা বিশেষ ছিল না ।
ইঁদা নামে জায়গাটিতে বনের ভেতর ছিল খড়গেশ্বরের পুরোনো ভাঙা মন্দিরটি । তাই টিলা দুটোর সাথে একটি ধর্মীয় আবেগ জড়িয়ে ছিল মানুষের মধ্যে।
রিচার্ডস এর পরিকল্পনায় খড়গপুর দমদমা ও সংলগ্ন জায়গাটিতে BNR এর জংশন station , workshop , Railway কলোনি সমেত একটি রেলনগরী পত্তনের কাজ শুরু হল ।
হারাধন চক্রবর্তী দিনক্ষণ ঠিক করে দিলেন ।
ডিনামাইট দিয়ে ফাটিয়ে দেওয়া হল টিলার মাথা ।
পরিবর্তন হল এলাকার ভূপ্রকৃতি । নির্জন পরিবেশ বদলে গিয়ে যাত্রীর ঢল নামল এ দেশে ।।
....
C: Shri Sutanu Ghosh click here
#BanglaGolpo Series

Translate to English
Translate to Hindi
Info Update
74498 views
1

Oct 29 2019 (12:45)   37111/Howrah - Belur Math Local | BESY/Belur Scrap Yard
SAPTARSHI^~
SAPTARSHI^~   26388 blog posts
Entry# 4472142            Tags   Past Edits
বুড়িমা চকোলেট বোম আজও নস্টালজিক। আমরা সবাই ফাটিয়েছি।চলুন দেখে নিই তার ইতিহাস।
.
বাঙালি ব্যবসা করুক না করুক বেশ গাল ভরা কিছু বিদেশি শব্দ অবশ্য একদল বাঙালির মুখে মুখে – অঁতরপ্রেনার,ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট, এঞ্জেল ইনভেস্টর, স্টার্ট-আপ ইত্যাদি৷ কিন্তু তারও অনেক দিন আগে এক ভিটে ছেড়ে আসা এক উদ্বাস্তু মহিলা জীবন সংগ্রামে বেঁচে থাকতে থাকতে বাজি তৈরি করতে বসেছিলেন আর তাঁর চকলেট বোম এতই জনপ্রিয় হল যে নামই হয়ে গেল বুড়িমার চকলেট বোম৷
.
...
more...

সে একটা দিন ছিল বুড়িমার। এক পুজো থেকে আর এক পুজো বারো মাসই চাপ আর চাপ। তবে লক্ষ্মীপুজোর পরে চাঁদ যত ছোট হয়ে আসত তত দম ফেলার ফুরসত্‍ থাকত না তাঁর। ডজন, ডজন বাজি চাই। শুধুই কালীপুজো নাকি! ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচেও তো 'বুড়িমা'-ই গর্জে উঠত।
.
ওনার আসল নাম অন্নপূর্ণা দাস। জন্ম, বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের ফরিদপুরে৷ তারপর দাঙ্গা, দেশভাগ, স্বাধীনতার এক কঠিন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে অন্নপূর্ণা দাস পরিণত হলেন অবশেষে বুড়িমা তে ।ছিন্নমূল অবস্থায় তিনি যখন এ পার বাংলায় এলেন তখন তিনি দিশেহারা চার সন্তানের জননী। তিন মেয়ে এক ছেলে। তবে বড় এবং মেজ মেয়ের বিয়ে হলেও ছোটো ছেলে আর মেয়েকে নিয়ে যে এপার বাংলায় চলে আসেন । যদিও এমন সিদ্ধান্তে সায় ছিল না স্বামী সুরেন্দ্রনাথের। কিন্তু তাঁর ইচ্ছেকে মর্যাদা দিয়েও ছিলেন অন্নপূর্ণাও। ফলে স্বামীর মৃত্যুর পর ১৯৪৮ সালে অবশেষে ভারত অভিমুখে যাত্রা। পশ্চিম দিনাজ পুরের ধলগিরি ক্যাম্প। সঙ্গে ছোট ছোট দুই ছেলেমেয়ে। সুখের সংসার থেকে একেবারে রিফিউজি ক্যাম্পে। তখন সন্তানদের মুখে দু-মুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য প্রাণান্তকর পরিশ্রম করতেন। কোনও দিন পটল, বেগুন, কুমড়ো , ঝিঙে কিনে বাজারে বিক্রি করা আবার কোনও দিন কর্মকারের কাছ থেকে হাতা , খুন্তি কিনে হাটে বিক্রি কিংবা বাড়ি বাড়ি নানান সামগ্রী ফেরি। সেই সময় গঙ্গারামপুরে পরিচয় হল সনাতন মণ্ডলের সঙ্গে। তাঁর ছিল মুদির দোকান অবশ্য তার সঙ্গে তিনি দক্ষ হাতে বিড়িও বাঁধতেন। অন্নপূর্ণা দেবীকে তিনি মা বলে সম্বোধন করেছিলেন নিজের হারানো মা কে ভুলতে। আর ধীরে ধীরে অন্নপূর্ণাদেবী সনাতনের কাছে শিখলেন বিড়ি বাঁধার কায়দা। অন্নপূর্ণার বিড়ি জনপ্রিয় হল। এই ভাবে চলতে চলতে বছর তিনেকের মধ্যে তিনি খুলে ফেললেন একটা বিড়ি তৈরির কারখানা।পাশাপাশি গড়ে উঠল তাঁর নিজস্ব পাকা বাড়িও। তবে অন্নপূর্ণার উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে পড়তে লাগল সনাতনের ব্যবসা।তখন তিনি গঙ্গারামপুর থেকে ব্যবসা গুটিয়ে চলে যান শ্বশুরবাড়ি শিলিগুড়িতে। তবে তার আগে অন্নপূর্ণাদেবীর ছোট মেয়ের জন্য একটা পাত্রও ঠিক করে দিয়ে গেলেন। পাত্রটি বেলুড়ের। বিয়ের পর নতুন জামাই বেলুড়ের প্যারীমোহন মুখার্জি স্ট্রীটে একটা দোকান সহ বাড়ির সন্ধান দেন, যার দাম ছিল তখন ন’শো টাকা। এই ভাবেই অন্নপূর্ণা দেবীর বেলুড়ে আসা এবং কলকাতার ব্যাপারী জগতের পীঠস্থান বড়বাজারে সঙ্গে যোগাযোগ।
বিড়ির সঙ্গে চলতে লাগল আরও নানা ধরনের ছোটখাটো জিনিসের ব্যবসা । এবার যোগাযোগ হল হরকুসুম গাঙ্গুলিকে। কিন্তু ইনি ব্রাহ্মণ সন্তান হওয়ায় তাঁকে সনাতনের মতো সহজে ছেলে বলে মেনে নিতে দ্বিধায় ছিলেন অন্নপূর্ণা দেবী । তবে শোনা যায় বিভেদ ঘুচিয়ে দিয়েছিলেন খোদ হরকুসুমই। তিনিই একদিন অন্নপূর্ণা দেবীকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে স্বীকার করিয়ে নিলেন ছেলে হিসেবে। এবার তাঁর কাছ থেকেও অন্নপূর্ণা দেবী শিখে নিলেন আলতা, সিঁদুর বানানোর কৌশল। যথারীতি অন্নপূর্ণা দেবী কিছুদিনের মধ্যেই জনপ্রিয়তা অর্জন করলেন আলতা -সিঁদুরে। অন্নপূর্ণা দেবী বুঝলেন মন দিয়ে করলে যে কোনও ব্যবসাতেই সফল হওয়া সম্ভব।ফলে বিভিন্ন মরশুমের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিশ্বকর্মা পুজোর সময় ঘুড়ি , দোলের সময় রঙ, স্বরস্বতী পুজোর সময় পুজো সামগ্রী এমনকি কালী পুজোর সময় অন্য জায়গা থেকে বাজি কিনে এনে বিক্রিও করতে শুরু করলেন। এভাবে দিন কাটতে লাগল আর বাজি বিক্রি করতে করতে তিনি খেয়াল করলেন কমবয়সীরা কিনতে এসে তাঁকে বুড়িমা বলে সম্বোধন করছে। তা শুনে দিনের শেষে অবাক অন্নপূর্ণা নিজেকে আয়নায় দেখলেন তাঁর চুলে কেমন পাক ধরেছে ৷বুঝলেন আক্ষরিক অর্থেই তিনি ‘বুড়িমা’ হয়ে গিয়েছেন । তাতেও উদ্যম না হারিয়ে আরও বেশি বেশি করে বাজি কিনে এনে দোকান ভরানোর ইচ্ছে হল। একহাজার টাকা ধার নিয়ে বড়বাজার থেকে বাজি এনে দোকান ভরালেন বিক্রির জন্য বুড়িমা । কিন্তু সেই সময় ব্যবসায় ধাক্কা খেলেন আইন না জানা থাকায়৷পুলিশ এসে জানতে চাইল বাজি বিক্রির সরকারি ছাড়পত্র কোথায়? লাইসেন্স না থাকায় সমস্ত বাজি বাজেয়াপ্ত হল। জীবনে অনেক ঝড় ঝাপটা সামলেছেন তাই এতে বিচলিত হলেন না বরং জেদ চাপল তাঁর৷ছাড়পত্র জোগাড় করে এবার নিজেই বাজির তৈরি করবেন ঠিক করলেন৷ওই বয়েসেও বাজি বানানোর পদ্ধতি জানতে বুঝতে হাওড়ার বাঁকরা, বজবজের নুঙ্গি চষে ফেললেন। এবার পরিচয় হল বাজি বিশেষজ্ঞ আকবর আলির৷ তাঁর কাছ থেকে শিখলেন সোরা , গন্ধক, বারুদের বিভিন্ন অনুপাতে মিশিয়ে বাজি তৈরি করতে আর পুরো মন দিলেন বাজিতেই৷তিনি এযুগের ম্যানেজমেন্ট গুরুদের মতো ব্র্যান্ডিং জানতেন না ঠিকই তবে নিজের বাজিকে অন্যদের থেকে আলাদা করতে নাম দিলেন ‘বুড়িমা’ যেহেতু এই নামেই কচিকাঁচারা তাঁকে ডাকে৷ তারপর রাতারাতি তিনি বিখ্যাত হয়ে গেলেন যেটা বানিয়ে, সেটা হল বুড়িমার চকলেট বোম ।
.
ধীরে ধীরে তিনি তালবান্দা আর ডানকুনিতে তৈরি করে ফেললেন আরও দুটো কারখানা।নিজে আরও বড় , আরও বড় কারখানা, আরও বড় ব্রাণ্ডিং – এর প্রয়োজনে পাড়ি দিলেন দক্ষিণ ভারতের বাজি শহর শিবকাশীতে । সেখানেই লিজে জমি নিয়ে দেশলাই কারখানা গড়লেন। ফলে রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গে এবার বুড়িমার নাম ছড়িয়ে পড়ল সারা ভারতবর্ষে । দীপাবলি আর কালীপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে গেলো ‘বুড়িমা’র নাম। শব্দবাজিতে নিষেধাজ্ঞা এবং চিনাবাজি আগ্রাসন হয়তো বুড়িমার দাপট কমিয়েছে কিন্তু বুড়িমার নস্টালজিয়াকে মনে হয় না মুছতে পেরেছে ৷
.
তথ্যসূত্র : কলকাতা 24x7 ও এবেলা
#BanglaGolpo Series

Translate to English
Translate to Hindi
Rail Fanning
260837 views
7

Oct 24 2019 (23:33)   DDJ/Dum Dum Junction (5 PFs)
SAPTARSHI^~
SAPTARSHI^~   26388 blog posts
Entry# 4468298            Tags   Past Edits
শুভ জন্মদিন - কলকাতা মেট্রো
==========
.
জন্মদিনটা আজও চোখের সামনে ভাসে অনেকের ৷ ২৪ শে অক্টোবর ১৯৮৪ ৷ ভারতের প্রথম মেট্রো রেল চলাচল শুরু হল পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ৷ না, তখনও কলকাতা ছিল ক্যালকাটা ৷ প্রবাদটা কিন্তু আবার প্রমাণ হয়ে য়ায়, ‘বাংলা আজ যা করে ভারত ভাবে তার অনেক পরে’৷
.
...
more...

কলকাতা মেট্রোর সক্ষিপ্ত ইতিহাস
============
.
1) ১৯৮৪ সালে মেট্রো রেল চলাচল শুরু হলেও অনেক আগেই ১৯৫০ সালে মাটির তলায় রেল যোগাযোগের কথা ভেবে ছিলেন বাংলার রূপকার তৎকালিন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় ৷ শুধু ভাবাই নয়, ফরাসী ইন্জীনিয়ারদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ দল সার্ভেও করে কলকাতায় ৷ কিন্তু সেই সময় আর মেট্রো রেল প্রজেক্ট ফলপ্রসু হয় নি ৷ যদি হত তাহলে আরও অনেক আগেই জন্ম নিত বাংলা তথা ভারতের প্রথম মেট্রো রেল ৷
.
2) ৮০ র দশকেই কলকাতায় এলাকার তুলনায় রাস্তা ছিল মাত্র ৪.২ শতাংশ ৷ যেখানে সেই সময় দিল্লীতে রাস্তার পরিমাণ ছিল মূল এলাকার ২৫ শতাংশ ও ৩০ শতাংশের অনেক বেশি ভারতের বাকি বড় শহরগুলিতে ৷ ফলে কলকাতায় মেট্রো রেলের প্রয়োজন ছিল সবচেয়ে বেশি ৷ আর তাই, ১৯৬৯ সালে তৈরি হল মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট বা MTP ৷
এই প্রকল্পের প্রতিবেদনে কলকাতার ট্রাফিক সমস্যার সমাধানে দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প পথ নেই বলে জানানো হয়। এই প্রজেক্টে ছিলেন রাশিয়া ও জার্মান বিশেষজ্ঞরা ৷
.
.
...........চলবে
(সংগৃহীত)
#MetroRailwayKolkata #mymemories #BanglaGolpo Series

Translate to English
Translate to Hindi

106625 views
1

Oct 25 2019 (00:43)
SAPTARSHI^~   26388 blog posts
Re# 4468298-1               Past Edits
আগের অংশের পর....
.
3) ১৯৭১ সালে প্রজেক্ট রিপোর্টে ৫ টি রাপিড ট্রানসিট মেট্রো রুটের প্রস্তাব করা হয়, যার দৈর্ঘ্য হবে ৯৭.৫ কিমি ৷ যদিও প্রস্তাব অনুযায়ী প্রাথমিক পর্বে ৩ টি রুট লাইন সিলেক্ট হয় ৷
.
একনজরে
...
more...
দেখে নেওয়া যাক, ১৯৭১ সালের MTP প্রস্তাবে কি কি ছিল এই ৩ টি রুট বা লাইন :
১. দমদম- টালিগঞ্জ (এখন বেড়ে নোয়াপাড়া-নিউ গড়িয়া হয়েছে)
২. সল্ট লেক – রামরাজাতলা,হাওড়া ( এখন হাওড়া ময়দান পর্যন্ত কাজ চলছে)
৩. দক্ষিণেশ্বর-ঠাকুরপুকুর (পরিবর্তিত হয়ে হয়েছে জোকা বিবাদি বাগ এবং নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর)
.
এই তিনটির পথের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপিত হয় ১৬.৪৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য্যবিশিষ্ট দমদম-টালিগঞ্জ লাইনটির উপর।
.
4) ১৯৭২ সালের ১ জুন প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
.
5,) ওই বছর ২৯ ডিসেম্বর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেন।
6) ১৯৭৩-৭৪ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও ১৯৭৭-৭৮ সালে অর্থের জোগান বন্ধ থাকা, ভূগর্ভস্থ পরিষেবাগুলির স্থানান্তরণ, আদালতের নানা স্থগিতাদেশ, কাঁচামালের অনিয়মিত সরবরাহ ইত্যাদি কারণে প্রকল্প রূপায়ণে অযথা দেরি হতে থাকে।
.
অবশেষে তদানীন্তন রেলমন্ত্রী আবু বারকাত আতাউর গণী খান চৌধুরীর বিশেষ উদ্যোগ, কর্মদক্ষতা, ও কূটনৈতিক দূরদৃষ্টির ফলে প্রকল্পের কাজে দ্রুততা আসে l
.
7)১৯৮৪ সালে, চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে তৈরী হয়ে আসা, কলকাতা মেট্রো রেলের প্রথম কোচটিকে ক্রেনে করে নামানো হয় ধর্মতলা অঞ্চলে। ১৯৮৪ সালের ২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এসপ্ল্যানেড-ভবানীপুর (নেতাজি ভবন) ৩.৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য্যবিশিষ্ট রুটে ভারতের প্রথম তথা এশিয়ার পঞ্চম মেট্রো পরিষেবা কলকাতা মেট্রোর উদ্বোধন করেন।প্রথম চলা মেট্রো রেলের চালকগণ ছিলেন- তপন কুমার নাথ ও সঞ্জয় শীল।
.
8) এই বছরই ১২ নভেম্বর চালু হয় দমদম-বেলগাছিয়া ২.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য্যবিশিষ্ট রুটটিও।
.
উল্লেখ্য, এটিই কলকাতা মেট্রোর দীর্ঘতম স্টেশন দূরত্ব।
.
9) ১৯৮৬ সালের ২৯ এপ্রিল টালিগঞ্জ অবধি মেট্রো সম্পসারিত হলে এসপ্ল্যানেড থেকে টালিগঞ্জ অবধি ১১টি স্টেশন নিয়ে ৯.৭৯ কিলোমিটার পথের কাজ সম্পূর্ণ হয়।
.
10) ২২ নভেম্বর ১৯৯২ তারিখে দমদম-বেলগাছিয়া অংশটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ এই বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্র অংশটি খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি।
.
11) টালিগঞ্জ অবধি সম্প্রসারণের দীর্ঘ আট বছর পরে ১৩ অগস্ট ১৯৯৪ তারিখে দমদম-বেলগাছিয়া শাখাটিকে ১.৬২ কিলোমিটার সম্প্রসারিত করে শ্যামবাজার অবধি নিয়ে আসা হয়।
.
12) এই বছরের ২ অক্টোবর তারিখে ০.৭১ কিলোমিটার এসপ্ল্যানেড-চাঁদনি চক শাখাটি চালু হয়।
.
13) শ্যামবাজার-শোভাবাজার-গিরিশ পার্ক (১.৯৩ কিলোমিটার) ও চাঁদনি চক-সেন্ট্রাল (০.৬০ কিলোমিটার) শাখাদুটি চালু হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ তারিখে।
.
14) গিরিশ পার্ক থেকে সেন্ট্রালের মধ্যবর্তী ১.৮০ কিলোমিটার পথ সম্পূর্ণ হয় ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ তারিখে। এর ফলে বর্তমান মেট্রোলাইনটির কাজ সম্পূর্ণ হয়।
.
15) ২০০৯ সালে টালিগঞ্জ (বর্তমানে মহানায়ক উত্তমকুমার) স্টেশন থেকে গড়িয়া বাজার (বর্তমানে কবি নজরুল) স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারিত নতুন মেট্রোপথের সূচনা করা হয়।
.
16) ২০১৩ সালে দমদম থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত সম্প্রসারিত নতুন মেট্রোপথের সূচনা করা হয়।
.
💠বর্তমানে চালু থাকা মেট্রো স্টেশনগুলি চালু হবার দিনপঞ্জি নিম্নরূপ-
■ নোয়াপাড়া- ১০ই জুলাই ২০১৩।
■ দমদম- ১২ই নভেম্বর ১৯৮৪।
■ বেলগাছিয়া- ১২ই নভেম্বর ১৯৮৪।
■ শ্যামবাজার- ১৫ই ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫।
■ শোভাবাজার সুতানুটি- ১৫ই ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫।
■ গিরিশ পার্ক- ১৫ই ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫।
■ মহাত্মা গান্ধী রোড- ২৭শে সেপ্টেম্বর ১৯৯৫।
■ সেন্ট্রাল- ১৫ই ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫।
■ চাঁদনী চক- ১৫ই ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫।
■ ধর্মতলা- ২৪শে অক্টোবর ১৯৮৪।
■ পার্ক স্ট্রিট- ২৪ শে অক্টোবর ১৯৮৪।
■ ময়দান- ২৪শে অক্টোবর ১৯৮৪।
■ রবীন্দ্র সদন- ২৪শে অক্টোবর ১৯৮৪।
■ নেতাজি ভবন- ২৪শে অক্টোবর ১৯৮৪।
■ যতীন দাস পার্ক- ২৯শে এপ্রিল ১৯৮৬।
■ কালীঘাট- ২৮শে এপ্রিল ১৯৮৬।
■ রবীন্দ্র সরোবর- ২৯শে এপ্রিল ১৯৮৬।
■ মহানায়ক উত্তম কুমার- ২৯শে এপ্রিল ১৯৮৬।
■ মাস্টারদা সূর্য সেন- ২২শে অগাস্ট ২০০৯।
■ গীতাঞ্জলি- ২২শে অগাস্ট ২০০৯।
■ কবি নজরুল- ২২শে অগাস্ট ২০০৯।
■ শহীদ ক্ষুদিরাম- ৭ই অক্টোবর ২০১০।
■ কবি সুভাষ- ৭ই অক্টোবর ২০১০।
.
(সংগৃহীত)
#MetroRailwayKolkata #mymemories #BanglaGolpo Series #indianrailwayshistory

Translate to English
Translate to Hindi

1 Public Posts - Wed Feb 05, 2020
1 Followers
Info Update
654537 views
6

Oct 09 2019 (23:56)   31311/Sealdah - Kalyani Simanta Local | KYI/Kalyani (4 PFs)
SAPTARSHI^~
SAPTARSHI^~   26388 blog posts
Entry# 4453573            Tags   Past Edits
ব্যর্থ এক প্রেমকাহিনী ............ ‌‌💔💔
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আঁচ তখন এসে পড়েছে বাংলার উঠোনেও। জাপানি বোমার ভয়ে কাঁপছে কলকাতা। গুজব রটছে অহরহ, এই বুঝি জাপানি সেনারা ঢুকে পড়ল দেশে। কোহিমায় তখন জাতীয় পতাকা তুলেছেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। আজাদ হিন্দ বাহিনী দখল নিয়েছে ইম্ফলের। জাপানিদের নিয়ে ভয়ের পাশাপাশি নেতাজিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখাও ঘন হচ্ছে। জাপানি আর নেতাজীর জোট বাংলায় ঢুকে এলে আসলে সুবিধে না অসুবিধে—তা নিয়ে তর্ক হচ্ছে ইতিউতি। কিন্তু, কিছুই যেহেতু ভালো করে স্পষ্টাস্পষ্টি বোঝা যাচ্ছে না, ফলে সব মিলিয়ে একটা ঘন ধোঁয়াশা।
এই বিশ্বযুদ্ধের আবহেই মিত্রশক্তির পক্ষে ব্রিটিশদের সাহয্য করতে বাংলার মাটিতে
...
more...
পা রেখেছিল মার্কিনি সেনারা। মূল লক্ষ্য জাপানি সেনাদের ঠেকানো। বিভিন্ন জায়গায় মার্কিনি সেনা ব্যারাক তৈরি হল। আর, কলকাতা থেকে কমবেশি পঞ্চাশ কিমি দূরে তৈরি হল পুরোদস্তুর মার্কিনি সেনা উপনিবেশ--- ‘রুজভেল্ট নগর’। বিমান ঘাঁটি, সেনা-আবাস, মিলিটারি হাসপাতাল— অনেক কিছুই ছিল এখানে। শোনা যায়, গঙ্গার ধারে নদিয়া জেলার ৪৫টি গ্রাম নিয়ে এই নগরের পরিকল্পনার আড়ালে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট স্বয়ং। ‌⛴️
এরপর হাওয়া ঘুরল। জার্মানি আত্মসমর্পণ করল। পরমানু বোমার আঘাতে বিধ্বস্ত জাপানও পরাজয় মেনে নিল। এই দেশ থেকে সমস্তকিছুর পাট চুকিয়ে বিদায় নিল মার্কিনি সেনারা। তাদের সেই সেনা ছাউনি, বিমান ঘাঁটি অপেক্ষা করতে লাগল পরিত্যক্ত হবে বলে। যুদ্ধের নানা স্মৃতি নিয়ে পড়ে থাকা এই মার্কিনি উপনিবেশ তখন মুখ ঢেকেছে জঙ্গলে, উঁচু-উঁচু ঘাসে। ‌🎄🎄
রুজভেল্ট নগর সন্নিহিত রেল স্টেশনটির নাম তখন ‘চাঁদমারি হল্ট’। এই স্টেশনটির নামই পঞ্চাশের দশকে বদলে হয়ে গেল ‘কল্যাণী’। শুধু ‘চাঁদমারি হল্ট’ স্টেশনই নয়, প্রায় সমগ্র রুজভেল্ট নগরই ততদিনে নতুন শহর ‘কল্যাণী’র নামে লীন হয়ে গেছে।
হঠাৎ করে, পরিত্যক্ত মার্কিনি সেনা-উপনিবেশের ভোল পালটে এমন নতুন শহর গড়ে উঠল কেন? কারণ, পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের ইচ্ছে ছিল কলকাতার থেকে খানিকটা দূরে আরো একটি বড় শহর গড়ে তোলার। যেটি শিল্পাঞ্চল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হবে। কলকাতার ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ এতে খানিক হালকাও হবে। বিকেন্দ্রীভবনের মাধ্যমে রাজধানীর পরিধিটিও এইভাবে খানিক বাড়িয়ে নেওয়া যাবে। কেউ কেউ বলেন, বিধানচন্দ্র রায়ের স্বপ্ন আসলে ছিল দ্বিতীয় কলকাতা তৈরির। রুজভেল্ট নগরের অদূরেই গঙ্গা। রেলপথে যাতায়াতেও অসুবিধে নেই। কলকাতা থেকে দূরত্ব ৫০ কিমি। ফলে, আদর্শ নগর গড়ে তোলার জন্য এই পরিত্যক্ত মার্কিনি উপনিবেশকে ভালোই মনে ধরেছিল প্রাক্তন কিংবদন্তী মুখ্যমন্ত্রীর।
কিন্তু, নতুন নগরের নাম ‘কল্যাণী’ হল কেন? উন্নয়নের কল্যাণ কামনায় তৈরি নগর বলে? নামকরণের ইতিহাস এত সরল নয় বন্ধু........ অন্তরালে রয়েছে একটি ব্যর্থ প্রেমের উপাখ্যান !
কিংবদন্তী চিকিৎসক নীলরতন সরকারের পাঁচ কন্যার একজন হলো কল্যাণী। রূপে লক্ষী গুণে সরস্বতী কন্যাটিকে ঘরে আনতে আগ্রহী পুরানো কলকাতার এলিট সমাজের কুমার গণ । এহেন কন্যার পাণিপ্রার্থী হয়ে গেছিলেন সদ্য ডাক্তারী পাস তরুণ বিধান রায় । শহরের সবচেয়ে ধনী ও মানী ডাক্তার বাবা শুনেই তো তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন, সোজা দেখিয়ে দিলেন সদর দরজা ।
জীবনের প্রথম প্রেমের অনুভূতিকে কোনোদিনই নাকি ভুলতে পারেননি বিধানচন্দ্র, অবিবাহিত থেকে গেলেন আজীবন। এই পরিণামহীন প্রণয়েরই সাক্ষ্য বহন করছে ‘কল্যাণী’ নামকরণ। ‌🏵️
১৯৫১-তে শহরের শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল কৈলাশনাথ কার্টজু আর প্রাক্তন ‘চাঁদমারি হল্টের’ নাম মুছে স্টেশনে ‘কল্যাণী’ লেখা হয়েছিল ১৯৫৪-তে। সেসব কবেকার কথা। রুজভেল্ট নগর থেকে কল্যাণী হয়ে ওঠার মতোই তারপর অনেক বদলেছে এই শহর। ফাঁকা জমি ভরাট হয়েছে। স্মার্ট সিটির তকমা লেগেছে গায়ে। কল্যাণীকে দ্বিতীয় কলকাতা বানানোর সাধ সম্পূর্ণ হয়নি বিধানচন্দ্র রায়ের। কলকাতার থেকে দূরত্ব হয়তো একটা বড়ো কারণ। কিন্তু, দুটি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নিয়ে এই শহর নিজের মতো দিব্যি আছে। এখনো এখানে শ্বাস নেওয়ার মতো গাছ আছে, সবুজ আছে, বনানীর ফাঁকে প্রেম করার মতো নির্জনতা আছে।🎄🎄
আর আছে, মার্কিনি উপনিবেশ থেকে ‘কল্যাণী’ হয়ে ওঠার আড়ালের গল্পরা। সেই গল্পে যুদ্ধও আছে, আছে নতজানু প্রেমও। বেশ খানিকটা খাঁটি সত্যি, কিছুটা রহস্যে ঢাকা। রহস্য না থাকলে কী আর টান জন্মায়!‌💢
লেখক - স্বপন সেন click here
.
#BanglaGolpo Series

Translate to English
Translate to Hindi
Page#    19 Blog Entries  next>>

Scroll to Top
Scroll to Bottom
Go to Desktop site
Important Note: This website NEVER solicits for Money or Donations. Please beware of anyone requesting/demanding money on behalf of IRI. Thanks.
Disclaimer: This website has NO affiliation with the Government-run site of Indian Railways. This site does NOT claim 100% accuracy of fast-changing Rail Information. YOU are responsible for independently confirming the validity of information through other sources.
India Rail Info Privacy Policy