Spotting
 Timeline
 Travel Tip
 Trip
 Race
 Social
 Greeting
 Poll
 Img
 PNR
 Pic
 Blog
 News
 Conf TL
 RF Club
 Convention
 Monitor
 Topic
 #
 Rating
 Correct
 Wrong
 Stamp
 PNR Ref
 PNR Req
 Blank PNRs
 HJ
 Vote
 Pred
 @
 FM Alert
 FM Approval
 Pvt

RailCal app

site support

हम RailFan - हमेशा पंखों पे

Search Forum
<<prev entry    next entry>>
Blog Entry# 4051238
Posted: Nov 29 2018 (01:49)

No Responses Yet
General Travel
169594 views
2

Nov 29 2018 (01:49)   36860/Barddhaman - Howrah Local (via Chord Line) | NBAE/Nabagram (3 PFs)
SAPTARSHI^~
SAPTARSHI^~   26415 blog posts
Entry# 4051238            Tags   Past Edits
1 compliments
😱😱
#banglagolpo series
#ভূত_চতুর্দশী
---
#চিরঞ্জিৎ_দাস
........
বন্ধুর
...
more...
বাড়ির কালীপূজোর নিমন্ত্রণ রক্ষা করে কমলেশ যখন নবগ্রাম স্টেশনে পৌঁছালো তখন রাত প্রায় ১০টা। কর্ড লাইনে হাওড়া যাওয়ার লাস্ট ট্রেন, বর্ধমান থেকে রাত ১০ টায় ছাড়ে। ট্রেন নবগ্রাম ষ্টেশন আসতে এখনো ২৫-৩০ মিনিট তো বটেই। এতো রাতে স্বাভাবিক ভাবেই ষ্টেশন চত্বর একদম ফাঁকা। ষ্টেশনে শেডের নিচে একটা আলো জ্বলছে ঠিকই, কিন্তু বাকি ষ্টেশন পুরোটাই প্রায় অন্ধকার। দূরে গ্রামের দিওয়ালীর আলো ষ্টেশন পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না। হাতে সাধের ক্যামেরাটা নিয়ে, শেড টপতে কমলেশ স্টেশনের শেষ প্রান্তের বেঞ্চটার দিকে এগিয়ে গেল। উদ্দেশ্য অন্ধকারে বসে, একটু আরাম করে সিগারেটে সুখটান।
কমলেশ আর বরুন কলেজের বন্ধু। পর পর দুই বছর নিমন্ত্রণ মিস করার পর এই বছর আর বরুনের আমন্ত্রণ উপেক্ষা করতে পারেনি কমলেশ। পুজো বাড়িতে কথায় কথায় অনেক দেরি হয়ে গেল নাহলে আরও আগেই হয়তো সে বাড়ি ফিরে যেত। মাসিমা, অর্থাৎ বরুনের মা অনেক করে রাতে থেকে যাওয়ার কথা বলছিলেন, কিন্তু না, কমলেশকে ফিরতেই হতো, ভাইফোঁটায় বাড়িতে অনেক আত্মীয় আসেন, কমলেশ না ফিরলে তার মা একা সামলে উঠতে পারবেন না। বরুন কমলেশকে ষ্টেশনে ছেড়ে দিয়ে একটু দাঁড়িয়ে যেতে চাইছিল। কমলেশই বরুণকে জোর করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়, মেঠো রাস্তায় তাকে একা গাড়ি নিয়ে ফিরতে হবে বলে।
হাত পা ছড়িয়ে বসে একটা সিগারেট ধরিয়ে কমলেশ খেয়াল করলো ষ্টেশনের শেষ প্রান্তে দুজন বসে গল্প করছে। কাছাকাছি গ্রামের কোন চাষি-টাসি হবে ভেবে সে আর অতটা গুরুত্ব দিল না। এক ঝলক রেডিয়াম ওয়ালা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সময়টা দেখে নিল সে, ১০ঃ১৫, এখনো ১০-১৫ মিনিট বসতেই হবে।
পা টেনে একটু সোজা হয়ে বসতেই কমলেশের পায়ে একটা নারকেলের খোলের মত কিছু ঠেকলো। পায়ে করে পিছনদিকে ঠেলে দিতে একটু গড়িয়ে আবার আগের জায়গায় ফিরে এলো সেটা। কমলেশের ভারি মজা লাগলো, একবার পায়ে করে ঠেলে দেয় আবার চলে আসে তার পায়ের কাছে।
এরকম করেই কেটে গেল আরও ১০ মিনিট। দূরে ট্রেনের আলো দেখা গেল। ট্রেন আসতে কমলেশ উঠে পড়লো লাস্ট বগির লাস্ট দরজায়। দরজায় দাঁড়িয়ে একটু হাওয়া খেতে খেতে যাওয়া যাবে ভেবে সে দরজাতেই দাঁড়িয়ে রইল। এতক্ষণে ষ্টেশনের শেষ প্রান্তে বসে থাকা লোক দুটোও এগিয়ে এসেছে, ওরাও মনে হয় ট্রেনে উঠবে। কিন্তু না, কমলেশ যেখানে এতক্ষণ বসে ছিল ওরা সেখানে গিয়ে একটা বড় বাঁশে বাঁধা একটা বড় বস্তা টেনে বার করলো। তার পর ট্রেনের গার্ডের সাথে চাপা গলায় কিসব কথা বলে বাঁশ সমেত বস্তাটা নিয়ে কোথায় যেন হাওয়া হয়ে গেল। ট্রেনটাও দাঁড়িয়েই আছে। এক মিনিটের মধ্যে লোক দুটোকে আবার দেখা গেল, তারা ছুটে এসে লাস্ট বগিতে উঠতেই ট্রেন ছেড়ে দিল।
"কি ছিল বস্তাতে", কমলেশ কৌতূহল চাপতে না পেরে প্রশ্নটা ছুঁড়ে দেয় ময়লা জামা কাপড় পরা রোগা পাতলা চেহারার দুটো মাঝ বয়েসি লোককে।
"ও কিছু না বাবু, ওই পাশের গ্রামের একটা পাগলি রেলে মাথা দিয়েছিল, ধর মুণ্ডু একদম আলাদা। ওই নিয়ে যাচ্ছি হাওড়ার মর্গে। ট্রেনের পিছনে বেঁধে দিয়ে এলাম"
কমলেশের পা কাঁপতে শুরু করে দিলো। এগিয়ে গিয়ে ধপ করে ট্রেনের একটা সিটে বসে পড়লো সে। শিরদাঁড়া দিয়ে তার শীতল স্রোত বয়ে চলেছে যেন। ভূত চতুর্দশীতে মরার মুণ্ডু নিয়ে ফুটবল খেলা। তেনারা কি ছেড়ে দেবেন?
...
সমাপ্ত
Source click here

Translate to English
Translate to Hindi
Scroll to Top
Scroll to Bottom
Go to Desktop site
Important Note: This website NEVER solicits for Money or Donations. Please beware of anyone requesting/demanding money on behalf of IRI. Thanks.
Disclaimer: This website has NO affiliation with the Government-run site of Indian Railways. This site does NOT claim 100% accuracy of fast-changing Rail Information. YOU are responsible for independently confirming the validity of information through other sources.
India Rail Info Privacy Policy