Search Forum
Filters:
Nov 29 2018 (13:03) 37913/Howrah - Katwa Local | BZLE/Bazarsau (4 PFs)
SAPTARSHI^~
SAPTARSHI^~ 26488 blog postsEntry# 4052296 Tags Past Edits
Mar 28 2020 (16:46)
Station Tag: Nabadwip Dham/NDAE added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Station Tag: Azimganj Junction/AZ added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Station Tag: Howrah Junction/HWH added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Station Tag: Katwa Junction/KWAE added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Train Tag: Katwa - Azimganj Passenger/53009 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Train Tag: Katwa - Azimganj Passenger/53005 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Train Tag: Howrah - Azimganj Passenger/53001 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Train Tag: Sealdah - Katwa Galloping Local/31111 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Train Tag: Howrah - Katwa Galloping Local/37921 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Train Tag: Howrah - Katwa Galloping Local/37919 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Train Tag: Howrah - Katwa Local/37917 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Train Tag: Howrah - Katwa Galloping Local/37915 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Train Tag: Howrah - Katwa Local/37911 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Jun 08 2019 (18:26)
series
Source
Jun 08 2019 (18:22)
Source
Jun 08 2019 (18:20)
বিনি সুতোর মালা
Station Tag: Nabadwip Dham/NDAE added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Station Tag: Azimganj Junction/AZ added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Station Tag: Howrah Junction/HWH added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Station Tag: Katwa Junction/KWAE added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Train Tag: Katwa - Azimganj Passenger/53009 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Train Tag: Katwa - Azimganj Passenger/53005 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Train Tag: Howrah - Azimganj Passenger/53001 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Train Tag: Sealdah - Katwa Galloping Local/31111 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Train Tag: Howrah - Katwa Galloping Local/37921 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Train Tag: Howrah - Katwa Galloping Local/37919 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Train Tag: Howrah - Katwa Local/37917 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Train Tag: Howrah - Katwa Galloping Local/37915 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:46)
Train Tag: Howrah - Katwa Local/37911 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Jun 08 2019 (18:26)
series
Source
Jun 08 2019 (18:22)
Source
Jun 08 2019 (18:20)
বিনি সুতোর মালা
#banglagolpo series
বিনি সুতোর মালা.....
মহাষষ্ঠীর সকালে হাওড়া থেকে বাজরসাউ প্যাসেঞ্জার ছাড়লো । এই ট্রেন আমাদের কালনা পৌছে দেবে ঘন্টা চারেকের মর্ধ্যে । বাবার কাছে জানলাম এই ট্রেন ব্যান্ডেল পর্যন্ত দুএকটা স্টেশনে দাড়াবে । ব্যান্ডেলে ইঞ্জিল বদল হবে । এখন টানছে ডিজেল ইঞ্জিল, ব্যান্ডেলের পর টানবে কয়লার স্টিম ইঞ্জিল এর আগেও বেশ কয়েকবার ট্রেনে চড়ার অভিজ্ঞতা ছিল, কিন্তু সেটা ছিল ইলেক্ট্রিক ট্রেন । ডিজেলের গাড়ী ঝকঝক শব্দ করে । দুদ্দান্ত দৌড়ে পার হয়ে যেত লাগলো একটার পর একটা স্টেশন । বাপরে তার কী শক্তি ! এর তুলনায় ইলেক্ট্রিক ট্রেন অনেক...
more...
বিনি সুতোর মালা.....
মহাষষ্ঠীর সকালে হাওড়া থেকে বাজরসাউ প্যাসেঞ্জার ছাড়লো । এই ট্রেন আমাদের কালনা পৌছে দেবে ঘন্টা চারেকের মর্ধ্যে । বাবার কাছে জানলাম এই ট্রেন ব্যান্ডেল পর্যন্ত দুএকটা স্টেশনে দাড়াবে । ব্যান্ডেলে ইঞ্জিল বদল হবে । এখন টানছে ডিজেল ইঞ্জিল, ব্যান্ডেলের পর টানবে কয়লার স্টিম ইঞ্জিল এর আগেও বেশ কয়েকবার ট্রেনে চড়ার অভিজ্ঞতা ছিল, কিন্তু সেটা ছিল ইলেক্ট্রিক ট্রেন । ডিজেলের গাড়ী ঝকঝক শব্দ করে । দুদ্দান্ত দৌড়ে পার হয়ে যেত লাগলো একটার পর একটা স্টেশন । বাপরে তার কী শক্তি ! এর তুলনায় ইলেক্ট্রিক ট্রেন অনেক...
more...
শান্ত আর নিহীত । কিন্তু ব্যান্ডেলে স্টিম ইঞ্জিল লাগিয়ে ট্রেন যখন যাত্রা শুরু করল, সে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা ।
ইঞ্জিল বদলের জন্য অনেকটা সময় লাগত । তাই বাবা আমাদের নিয়ে প্লাটফরমে নামলেন, স্টিম ইঞ্জিল কেমন হয় দেখানোর জন্যে । ট্রেনের সামনে থেকে চার-পাঁচজন রেলকর্মী খুলে দিলেন ডিজেল ইঞ্জিলের বাধন । সে ইঞ্জিল আমার মতোই মুক্তির আনন্দে "ভোঁ" শব্দ করে বেরিয়ে গেল । তারপর বেশ কিছুক্ষণ পর কু-উ-উ-উ-উ বাঁশি বাজিয়ে আসতে লাগলো স্টিম ইঞ্জিল । মাথার উপরে কালো ধোয়া, আর নিচের দিকে ভস ভস করে সাদা ধোয়া ছাড়তে ছাড়তে । আস্তে আস্তে এসে সে ধরাম করে ধাক্কা লাগালো ট্রেনের গায়ে, তারপর দাড়িয়ে পড়লো । রেলকর্মীরা ট্রেনের সাথে বেধে ফেললেন এই ইঞ্জিলকে । যতক্ষণ সে দাড়িয়ে ছিল, তীব্র শব্দে সে ফোঁস ফোঁস করতে লাগলো রাগী মেষের মতো । বাধন শক্ত হতেই স্টিম ইঞ্জিল বাজিয়ে দিল বাঁশি - কু-উ-উ-উ-উ । মাথার উপর কালো ধোয়ার রাশি ছাড়তে লাগলো ডক ডক করে । আর সঙ্গে সঙ্গে লম্বা লম্বা শ্বাস নেওয়ার মতো ভস ভস করে স্টিম ছাড়তে লাগলো ইঞ্জিল । বাবার হাত ধরে আমরা দৌড়ে উঠে পড়লাম ট্রেনে । আমরা উঠতেই ট্রেন গড়াতে লাগলো । মা উদ্বিগ হয়ে উঠেছিলেন ! এখন নিশ্চিন্ত হয়ে বললেন "এতো দেরি করলে কেন ? যদি ট্রেন ছেড়ে দিত ?"
ব্যান্ডেল পার হওয়ার পর লাইনের দুপাশের দৃশ্যও বিলরুল বদলে গেল । কয়েকদিন আগে স্কুলের অনুষ্ঠানে যো গান গিয়েছিলাম সে গানের রূপ আস্তে আস্তে ফুটে উঠতে লাগলো আমার চোখের সামনে । সীমাহীন ব্যাপ্ত নীল আকাশ, এলোমেলো সাদা মেঘের টুকরো । ট্রেনের উল্টো দিকে দৌড়ে চলা, দিগন্তবিস্তূত ঘন সবুজ মাঠ । অজস্র শাাপলা ফুটে থাকা খাল বিল জলাভূমি । ত্রিবেলী ঠোকার আগে গমগম শব্দ করে শেতুর উপর দিয়ে সরস্বতী নদী পার হলো । জল ভরী ছোট নদীর ঘাটে বাধা ছোট ছোট নৌকাা । আরলনদীর দু ধারের পোড়ো জমিতে বুড়ির সাদা মাথার মতো, হাওয়ায় দুলতে থাকা কাশবন । সেইদিন প্রথম বুঝতে পারলাম অপরূপ শরতের প্রকৃত রূপ ।
অতি উৎসাহে জানালার বাইরে মুখ বাড়াচ্ছিলাম, বাবা মানা করলেন । বললেন, কয়লার ইঞ্জিলের ধোয়ায় কয়লার গুঁড়ো থাকে প্রায়ই, চোখে মুকে গেলে ভীষণ কষ্টকর । জানালা দিয়ে শরতের প্রকৃতি দেখতে দেখতে মনে হয় । ইলেক্টিন ট্রেন বড্ড কাজের, রসকষহীন কাঠখোট্টা । সকালে যে ডিজেল ট্রেন এলাম সেটার গায়ে বড্ড জোড়, ভয় করে মনে হয় সামনে কিছু পড়লে ঢু মেরে ঠেলে ফেলে দেবে খ্যাপা হাতির মতো । কিন্তু এই স্টিমের ইঞ্জিল খুব মজার । তেমন তাড়াহুড়ো নেই । একটা স্টেশনে দাঁড়ালে যেন নড়তেই চায় না । ভাবখানা আমার মতো ! বেড়েতেই তো যাচ্ছি ভাই এতো তাড়া কীসের ? দু পাশে সবকিছু দেখে শুনে, লোকজনকে ব্যতিব্যস্ত না করে দিব্যি শানঅত শিষ্ট । লোকজন উঠছে,নামছে । পান বানিয়ে আনছে দোকান থেকে । কেউ কল টিপে জল খেয়ে আসছে । এই ট্রেনও খুব জল খায় । একটু বড়ো স্টেশানে লাইনের ধারে লম্ব গলা জিরআফের মতো পাইপ ঘুরিয়ে ট্রেনের পেটে ভরে দিচ্ছে জল । বাপর সে কী জল খাওয়া । জল-টল খাওয়া হলে মিষ্টি করে ডাক দিল 'কু-উ-উ-উ' । যেন বলতে চায় "এবারে উঠে পড়ো হে, গন্তব্যে পৌছাতে হবে না ?".............
বাকি গল্পটা বই কিনে পড়বেন 😜
Source click here
ইঞ্জিল বদলের জন্য অনেকটা সময় লাগত । তাই বাবা আমাদের নিয়ে প্লাটফরমে নামলেন, স্টিম ইঞ্জিল কেমন হয় দেখানোর জন্যে । ট্রেনের সামনে থেকে চার-পাঁচজন রেলকর্মী খুলে দিলেন ডিজেল ইঞ্জিলের বাধন । সে ইঞ্জিল আমার মতোই মুক্তির আনন্দে "ভোঁ" শব্দ করে বেরিয়ে গেল । তারপর বেশ কিছুক্ষণ পর কু-উ-উ-উ-উ বাঁশি বাজিয়ে আসতে লাগলো স্টিম ইঞ্জিল । মাথার উপরে কালো ধোয়া, আর নিচের দিকে ভস ভস করে সাদা ধোয়া ছাড়তে ছাড়তে । আস্তে আস্তে এসে সে ধরাম করে ধাক্কা লাগালো ট্রেনের গায়ে, তারপর দাড়িয়ে পড়লো । রেলকর্মীরা ট্রেনের সাথে বেধে ফেললেন এই ইঞ্জিলকে । যতক্ষণ সে দাড়িয়ে ছিল, তীব্র শব্দে সে ফোঁস ফোঁস করতে লাগলো রাগী মেষের মতো । বাধন শক্ত হতেই স্টিম ইঞ্জিল বাজিয়ে দিল বাঁশি - কু-উ-উ-উ-উ । মাথার উপর কালো ধোয়ার রাশি ছাড়তে লাগলো ডক ডক করে । আর সঙ্গে সঙ্গে লম্বা লম্বা শ্বাস নেওয়ার মতো ভস ভস করে স্টিম ছাড়তে লাগলো ইঞ্জিল । বাবার হাত ধরে আমরা দৌড়ে উঠে পড়লাম ট্রেনে । আমরা উঠতেই ট্রেন গড়াতে লাগলো । মা উদ্বিগ হয়ে উঠেছিলেন ! এখন নিশ্চিন্ত হয়ে বললেন "এতো দেরি করলে কেন ? যদি ট্রেন ছেড়ে দিত ?"
ব্যান্ডেল পার হওয়ার পর লাইনের দুপাশের দৃশ্যও বিলরুল বদলে গেল । কয়েকদিন আগে স্কুলের অনুষ্ঠানে যো গান গিয়েছিলাম সে গানের রূপ আস্তে আস্তে ফুটে উঠতে লাগলো আমার চোখের সামনে । সীমাহীন ব্যাপ্ত নীল আকাশ, এলোমেলো সাদা মেঘের টুকরো । ট্রেনের উল্টো দিকে দৌড়ে চলা, দিগন্তবিস্তূত ঘন সবুজ মাঠ । অজস্র শাাপলা ফুটে থাকা খাল বিল জলাভূমি । ত্রিবেলী ঠোকার আগে গমগম শব্দ করে শেতুর উপর দিয়ে সরস্বতী নদী পার হলো । জল ভরী ছোট নদীর ঘাটে বাধা ছোট ছোট নৌকাা । আরলনদীর দু ধারের পোড়ো জমিতে বুড়ির সাদা মাথার মতো, হাওয়ায় দুলতে থাকা কাশবন । সেইদিন প্রথম বুঝতে পারলাম অপরূপ শরতের প্রকৃত রূপ ।
অতি উৎসাহে জানালার বাইরে মুখ বাড়াচ্ছিলাম, বাবা মানা করলেন । বললেন, কয়লার ইঞ্জিলের ধোয়ায় কয়লার গুঁড়ো থাকে প্রায়ই, চোখে মুকে গেলে ভীষণ কষ্টকর । জানালা দিয়ে শরতের প্রকৃতি দেখতে দেখতে মনে হয় । ইলেক্টিন ট্রেন বড্ড কাজের, রসকষহীন কাঠখোট্টা । সকালে যে ডিজেল ট্রেন এলাম সেটার গায়ে বড্ড জোড়, ভয় করে মনে হয় সামনে কিছু পড়লে ঢু মেরে ঠেলে ফেলে দেবে খ্যাপা হাতির মতো । কিন্তু এই স্টিমের ইঞ্জিল খুব মজার । তেমন তাড়াহুড়ো নেই । একটা স্টেশনে দাঁড়ালে যেন নড়তেই চায় না । ভাবখানা আমার মতো ! বেড়েতেই তো যাচ্ছি ভাই এতো তাড়া কীসের ? দু পাশে সবকিছু দেখে শুনে, লোকজনকে ব্যতিব্যস্ত না করে দিব্যি শানঅত শিষ্ট । লোকজন উঠছে,নামছে । পান বানিয়ে আনছে দোকান থেকে । কেউ কল টিপে জল খেয়ে আসছে । এই ট্রেনও খুব জল খায় । একটু বড়ো স্টেশানে লাইনের ধারে লম্ব গলা জিরআফের মতো পাইপ ঘুরিয়ে ট্রেনের পেটে ভরে দিচ্ছে জল । বাপর সে কী জল খাওয়া । জল-টল খাওয়া হলে মিষ্টি করে ডাক দিল 'কু-উ-উ-উ' । যেন বলতে চায় "এবারে উঠে পড়ো হে, গন্তব্যে পৌছাতে হবে না ?".............
বাকি গল্পটা বই কিনে পড়বেন 😜
Source click here
please wait...Translate to English
please wait...Translate to Hindi
2 Public Posts - Tue Sep 03, 2019
Nov 29 2018 (01:49) 36860/Barddhaman - Howrah Local (via Chord Line) | NBAE/Nabagram (3 PFs)
SAPTARSHI^~
SAPTARSHI^~ 26488 blog postsEntry# 4051238 Tags Past Edits
Mar 28 2020 (16:47)
Station Tag: Jaugram/JRAE added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:47)
Station Tag: Masagram Junction/MSAE added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:47)
Train Tag: Barddhaman - Howrah Local (via Chord Line)/36842 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:47)
Train Tag: Barddhaman - Howrah Local (via Chord Line)/36844 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:47)
Train Tag: Barddhaman - Howrah Local (via Chord Line)/36846 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:47)
Train Tag: Barddhaman - Howrah Local (via Chord Line)/36848 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:47)
Train Tag: Barddhaman - Howrah Local (via Chord Line)/36850 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:47)
Train Tag: Barddhaman - Howrah Local (via Chord Line)/36852 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:47)
Train Tag: Barddhaman - Howrah Local (via Chord Line)/36854 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:47)
Train Tag: Barddhaman - Howrah Local (via Chord Line)/36858 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Jun 08 2019 (18:27)
series
Source
Jun 08 2019 (18:22)
Source
Nov 29 2018 (01:50)
Station Tag: Nabagram/NBAE added by শুভ দীপাবলি^~/1844918
Station Tag: Jaugram/JRAE added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:47)
Station Tag: Masagram Junction/MSAE added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:47)
Train Tag: Barddhaman - Howrah Local (via Chord Line)/36842 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:47)
Train Tag: Barddhaman - Howrah Local (via Chord Line)/36844 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:47)
Train Tag: Barddhaman - Howrah Local (via Chord Line)/36846 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:47)
Train Tag: Barddhaman - Howrah Local (via Chord Line)/36848 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:47)
Train Tag: Barddhaman - Howrah Local (via Chord Line)/36850 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:47)
Train Tag: Barddhaman - Howrah Local (via Chord Line)/36852 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:47)
Train Tag: Barddhaman - Howrah Local (via Chord Line)/36854 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:47)
Train Tag: Barddhaman - Howrah Local (via Chord Line)/36858 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Jun 08 2019 (18:27)
series
Source
Jun 08 2019 (18:22)
Source
Nov 29 2018 (01:50)
Station Tag: Nabagram/NBAE added by শুভ দীপাবলি^~/1844918
1 compliments
😱😱
😱😱
বাড়ির কালীপূজোর নিমন্ত্রণ রক্ষা করে কমলেশ যখন নবগ্রাম স্টেশনে পৌঁছালো তখন রাত প্রায় ১০টা। কর্ড লাইনে হাওড়া যাওয়ার লাস্ট ট্রেন, বর্ধমান থেকে রাত ১০ টায় ছাড়ে। ট্রেন নবগ্রাম ষ্টেশন আসতে এখনো ২৫-৩০ মিনিট তো বটেই। এতো রাতে স্বাভাবিক ভাবেই ষ্টেশন চত্বর একদম ফাঁকা। ষ্টেশনে শেডের নিচে একটা আলো জ্বলছে ঠিকই, কিন্তু বাকি ষ্টেশন পুরোটাই প্রায় অন্ধকার। দূরে গ্রামের দিওয়ালীর আলো ষ্টেশন পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না। হাতে সাধের ক্যামেরাটা নিয়ে, শেড টপতে কমলেশ স্টেশনের শেষ প্রান্তের বেঞ্চটার দিকে এগিয়ে গেল। উদ্দেশ্য অন্ধকারে বসে, একটু আরাম করে সিগারেটে সুখটান।
কমলেশ আর বরুন কলেজের বন্ধু। পর পর দুই বছর নিমন্ত্রণ মিস করার পর এই বছর আর বরুনের আমন্ত্রণ উপেক্ষা করতে পারেনি কমলেশ। পুজো বাড়িতে কথায় কথায় অনেক দেরি হয়ে গেল নাহলে আরও আগেই হয়তো সে বাড়ি ফিরে যেত। মাসিমা, অর্থাৎ বরুনের মা অনেক করে রাতে থেকে যাওয়ার কথা বলছিলেন, কিন্তু না, কমলেশকে ফিরতেই হতো, ভাইফোঁটায় বাড়িতে অনেক আত্মীয় আসেন, কমলেশ না ফিরলে তার মা একা সামলে উঠতে পারবেন না। বরুন কমলেশকে ষ্টেশনে ছেড়ে দিয়ে একটু দাঁড়িয়ে যেতে চাইছিল। কমলেশই বরুণকে জোর করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়, মেঠো রাস্তায় তাকে একা গাড়ি নিয়ে ফিরতে হবে বলে।
হাত পা ছড়িয়ে বসে একটা সিগারেট ধরিয়ে কমলেশ খেয়াল করলো ষ্টেশনের শেষ প্রান্তে দুজন বসে গল্প করছে। কাছাকাছি গ্রামের কোন চাষি-টাসি হবে ভেবে সে আর অতটা গুরুত্ব দিল না। এক ঝলক রেডিয়াম ওয়ালা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সময়টা দেখে নিল সে, ১০ঃ১৫, এখনো ১০-১৫ মিনিট বসতেই হবে।
পা টেনে একটু সোজা হয়ে বসতেই কমলেশের পায়ে একটা নারকেলের খোলের মত কিছু ঠেকলো। পায়ে করে পিছনদিকে ঠেলে দিতে একটু গড়িয়ে আবার আগের জায়গায় ফিরে এলো সেটা। কমলেশের ভারি মজা লাগলো, একবার পায়ে করে ঠেলে দেয় আবার চলে আসে তার পায়ের কাছে।
এরকম করেই কেটে গেল আরও ১০ মিনিট। দূরে ট্রেনের আলো দেখা গেল। ট্রেন আসতে কমলেশ উঠে পড়লো লাস্ট বগির লাস্ট দরজায়। দরজায় দাঁড়িয়ে একটু হাওয়া খেতে খেতে যাওয়া যাবে ভেবে সে দরজাতেই দাঁড়িয়ে রইল। এতক্ষণে ষ্টেশনের শেষ প্রান্তে বসে থাকা লোক দুটোও এগিয়ে এসেছে, ওরাও মনে হয় ট্রেনে উঠবে। কিন্তু না, কমলেশ যেখানে এতক্ষণ বসে ছিল ওরা সেখানে গিয়ে একটা বড় বাঁশে বাঁধা একটা বড় বস্তা টেনে বার করলো। তার পর ট্রেনের গার্ডের সাথে চাপা গলায় কিসব কথা বলে বাঁশ সমেত বস্তাটা নিয়ে কোথায় যেন হাওয়া হয়ে গেল। ট্রেনটাও দাঁড়িয়েই আছে। এক মিনিটের মধ্যে লোক দুটোকে আবার দেখা গেল, তারা ছুটে এসে লাস্ট বগিতে উঠতেই ট্রেন ছেড়ে দিল।
"কি ছিল বস্তাতে", কমলেশ কৌতূহল চাপতে না পেরে প্রশ্নটা ছুঁড়ে দেয় ময়লা জামা কাপড় পরা রোগা পাতলা চেহারার দুটো মাঝ বয়েসি লোককে।
"ও কিছু না বাবু, ওই পাশের গ্রামের একটা পাগলি রেলে মাথা দিয়েছিল, ধর মুণ্ডু একদম আলাদা। ওই নিয়ে যাচ্ছি হাওড়ার মর্গে। ট্রেনের পিছনে বেঁধে দিয়ে এলাম"
কমলেশের পা কাঁপতে শুরু করে দিলো। এগিয়ে গিয়ে ধপ করে ট্রেনের একটা সিটে বসে পড়লো সে। শিরদাঁড়া দিয়ে তার শীতল স্রোত বয়ে চলেছে যেন। ভূত চতুর্দশীতে মরার মুণ্ডু নিয়ে ফুটবল খেলা। তেনারা কি ছেড়ে দেবেন?
...
সমাপ্ত
Source click here
কমলেশ আর বরুন কলেজের বন্ধু। পর পর দুই বছর নিমন্ত্রণ মিস করার পর এই বছর আর বরুনের আমন্ত্রণ উপেক্ষা করতে পারেনি কমলেশ। পুজো বাড়িতে কথায় কথায় অনেক দেরি হয়ে গেল নাহলে আরও আগেই হয়তো সে বাড়ি ফিরে যেত। মাসিমা, অর্থাৎ বরুনের মা অনেক করে রাতে থেকে যাওয়ার কথা বলছিলেন, কিন্তু না, কমলেশকে ফিরতেই হতো, ভাইফোঁটায় বাড়িতে অনেক আত্মীয় আসেন, কমলেশ না ফিরলে তার মা একা সামলে উঠতে পারবেন না। বরুন কমলেশকে ষ্টেশনে ছেড়ে দিয়ে একটু দাঁড়িয়ে যেতে চাইছিল। কমলেশই বরুণকে জোর করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়, মেঠো রাস্তায় তাকে একা গাড়ি নিয়ে ফিরতে হবে বলে।
হাত পা ছড়িয়ে বসে একটা সিগারেট ধরিয়ে কমলেশ খেয়াল করলো ষ্টেশনের শেষ প্রান্তে দুজন বসে গল্প করছে। কাছাকাছি গ্রামের কোন চাষি-টাসি হবে ভেবে সে আর অতটা গুরুত্ব দিল না। এক ঝলক রেডিয়াম ওয়ালা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সময়টা দেখে নিল সে, ১০ঃ১৫, এখনো ১০-১৫ মিনিট বসতেই হবে।
পা টেনে একটু সোজা হয়ে বসতেই কমলেশের পায়ে একটা নারকেলের খোলের মত কিছু ঠেকলো। পায়ে করে পিছনদিকে ঠেলে দিতে একটু গড়িয়ে আবার আগের জায়গায় ফিরে এলো সেটা। কমলেশের ভারি মজা লাগলো, একবার পায়ে করে ঠেলে দেয় আবার চলে আসে তার পায়ের কাছে।
এরকম করেই কেটে গেল আরও ১০ মিনিট। দূরে ট্রেনের আলো দেখা গেল। ট্রেন আসতে কমলেশ উঠে পড়লো লাস্ট বগির লাস্ট দরজায়। দরজায় দাঁড়িয়ে একটু হাওয়া খেতে খেতে যাওয়া যাবে ভেবে সে দরজাতেই দাঁড়িয়ে রইল। এতক্ষণে ষ্টেশনের শেষ প্রান্তে বসে থাকা লোক দুটোও এগিয়ে এসেছে, ওরাও মনে হয় ট্রেনে উঠবে। কিন্তু না, কমলেশ যেখানে এতক্ষণ বসে ছিল ওরা সেখানে গিয়ে একটা বড় বাঁশে বাঁধা একটা বড় বস্তা টেনে বার করলো। তার পর ট্রেনের গার্ডের সাথে চাপা গলায় কিসব কথা বলে বাঁশ সমেত বস্তাটা নিয়ে কোথায় যেন হাওয়া হয়ে গেল। ট্রেনটাও দাঁড়িয়েই আছে। এক মিনিটের মধ্যে লোক দুটোকে আবার দেখা গেল, তারা ছুটে এসে লাস্ট বগিতে উঠতেই ট্রেন ছেড়ে দিল।
"কি ছিল বস্তাতে", কমলেশ কৌতূহল চাপতে না পেরে প্রশ্নটা ছুঁড়ে দেয় ময়লা জামা কাপড় পরা রোগা পাতলা চেহারার দুটো মাঝ বয়েসি লোককে।
"ও কিছু না বাবু, ওই পাশের গ্রামের একটা পাগলি রেলে মাথা দিয়েছিল, ধর মুণ্ডু একদম আলাদা। ওই নিয়ে যাচ্ছি হাওড়ার মর্গে। ট্রেনের পিছনে বেঁধে দিয়ে এলাম"
কমলেশের পা কাঁপতে শুরু করে দিলো। এগিয়ে গিয়ে ধপ করে ট্রেনের একটা সিটে বসে পড়লো সে। শিরদাঁড়া দিয়ে তার শীতল স্রোত বয়ে চলেছে যেন। ভূত চতুর্দশীতে মরার মুণ্ডু নিয়ে ফুটবল খেলা। তেনারা কি ছেড়ে দেবেন?
...
সমাপ্ত
Source click here
please wait...Translate to English
please wait...Translate to Hindi
Nov 27 2018 (14:35) 12837/Howrah - Puri Superfast Express (PT) | PURI/Puri (8 PFs)
SAPTARSHI^~
SAPTARSHI^~ 26488 blog postsEntry# 4046655 Tags Past Edits
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Bhubaneswar/BBS added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Cuttack Junction/CTC added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Bhadrak/BHC added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Kharagpur Junction/KGP added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Kolkata Shalimar/SHM added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Howrah Junction/HWH added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Train Tag: Puri - Sealdah Duronto Express/22202 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Train Tag: Howrah - Puri Shatabdi Express/12277 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Train Tag: Sri Jagannath Express/18409 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Train Tag: Dhauli Express/12821 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Train Tag: Howrah - Puri Weekly SF Express/12895 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Train Tag: Howrah - Puri Weekly SF Express/12887 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Jun 08 2019 (18:27)
series
Complete link
Station Tag: Bhubaneswar/BBS added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Cuttack Junction/CTC added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Bhadrak/BHC added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Kharagpur Junction/KGP added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Kolkata Shalimar/SHM added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Howrah Junction/HWH added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Train Tag: Puri - Sealdah Duronto Express/22202 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Train Tag: Howrah - Puri Shatabdi Express/12277 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Train Tag: Sri Jagannath Express/18409 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Train Tag: Dhauli Express/12821 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Train Tag: Howrah - Puri Weekly SF Express/12895 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Train Tag: Howrah - Puri Weekly SF Express/12887 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Jun 08 2019 (18:27)
series
Complete link
1 compliments
😢😢
😢😢
#banglagolpo series
এক বীভৎস দুর্ঘটনা, যার পরেই কলকাতা থেকে পুরীর রেলপথ নির্মাণ করা হয়.
_________________________________
পুরী। পড়শি রাজ্যের এই শহরটির প্রতি বাঙালির টান প্রবল । প্রভু জগন্নাথের দর্শন পেতে যুগে যুগে বাঙালিরা পুরীধামে ছুটে এসেছে। মহাপ্রভু চৈতন্যদেব বঙ্গদেশ ছেড়ে নিজের জীবনের শেষ ২৪ টা বছর এই পুরীধামে কাটিয়ে ভক্তিযোগ প্রচার করেছিলেন। ধার্মিক দিকটি বাদ দিলেও এখানকার মনোরম...
more...
এক বীভৎস দুর্ঘটনা, যার পরেই কলকাতা থেকে পুরীর রেলপথ নির্মাণ করা হয়.
_________________________________
পুরী। পড়শি রাজ্যের এই শহরটির প্রতি বাঙালির টান প্রবল । প্রভু জগন্নাথের দর্শন পেতে যুগে যুগে বাঙালিরা পুরীধামে ছুটে এসেছে। মহাপ্রভু চৈতন্যদেব বঙ্গদেশ ছেড়ে নিজের জীবনের শেষ ২৪ টা বছর এই পুরীধামে কাটিয়ে ভক্তিযোগ প্রচার করেছিলেন। ধার্মিক দিকটি বাদ দিলেও এখানকার মনোরম...
more...
আবহাওয়া , অপরূপ সমুদ্রসৈকতের টানে লক্ষ লক্ষ বাঙালি সারা বছর ধরে পুরী বেড়াতে আসে। পুরী হলো বাঙালির আবেগের জাযেগা। বাঙালি হয়ে সারাজীবন একবার পুরী যায়নি এটা আজ অকল্পনীয়। কলকাতা থেকে ট্রেনে খুব কম সময় বা রাতারাতি পৌঁছনো যায় বলেও হয়তো পুরী বাঙালির পর্যটন মানচিত্রে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। জগন্নাথের রথযাত্রা উপলক্ষে অনেক বাঙালী হয়তো ইতিমধ্যে পুরী পৌঁছেছেন বা অনেকে পৌঁছবেন
কিন্তু কলকাতা থেকে পুরীর ট্রেন সংযোগের পিছনে রয়েছে একটা ভয়ঙ্কর জাহাজডুবি এবং ৭৮০ জনের মৃত্যুর এক করুণ ইতিহাস।
দীর্ঘদিন ধরে ভারতের আর পাঁচটা তীর্থস্থানের মতো পুরীধামেও লোকে পদব্রজে যাতায়াত করত। সে পথ ছিল যেমন বিপদসংকুল তেমনি দুর্গম । লেগে যেত বেশ কয়েক মাস। পথে ছিল ডাকাত, মহামারী, বন্যার ভয়। এমনকি ব্রিটিশ আমলেও এই পরিস্থিতির তেমন নড়চড় হয়নি।প্রচুর তীর্থযাত্রী পথে মারা যেত। এই পথকে বলা হতো "জগন্নাথ সড়ক'' উনিশ শতকের মাঝামাঝি একবার ''মার্শমান '' এবং ''স্টিফেনসন'' দুই ব্রিটিশ প্রোমোটার কলকাতা ও পুরীর মধ্যে রেলরোড তৈরী করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কোনো কারণে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৮৭০ সাল নাগাদ সরকারি হিসেব অনুসারে প্রায় বছরে পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ যাত্রী পুরী যাচ্ছিলো। ক্রমেই তাই হিন্দুদের মধ্যে জোরালো হতে থাকে পুরী পর্যন্ত একটি ট্রেনলাইন স্থাপনের দাবি। কিন্তু ব্রিটিশ প্রভুদের কাছে সেই দাবি ধোপে টেকেনি।
এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসে কিছু প্রাইভেট স্টীমার কোম্পানি। তারা তাদের ছোট বাষ্পীয় জাহাজে কলকাতা থেকে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যেত চাঁদবালি অবধি। সেখান থেকে তারা পালকি করে কটক হয়ে পুরী পৌঁছতো। কিন্তু টিকিটের দাম ছিল আকাশছোয়া , তাই এই জলপথ ছিল নিম্নমধ্যবিত্তের ধরাছোয়ার বাইরে। একমাত্ৰ জমিদার এবং বাবুশ্রেনী লোকেদের মা, বিধবা বোন. বৌ দের জন্য ছিল এই ব্যবস্থা। বর্তমানে কলকাতার ছটুলাল ঘাট থেকে ছাড়তো এই স্টিমারগুলি।
এই রকম এক ছোট স্টীমার ছিল ''ম্যাকলিন এন্ড কং '' এর '' স্যার জন লরেন্স''।১৮৮৭ সাল। তারিখটা ২৫ শে মে। ঘূর্ণিঝড়ের মরসুম। এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে কিছু বছর আগে বিধ্বংসী ''আয়লা'' ঐদিনই পশ্চিমবাংলার বুকে আছড়ে পরে।প্রায় ৭৫০ যাত্রী এবং ৩০ জন নাবিক নিয়ে ''স্যার জন লরেন্স '' চাঁদবালির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। যাত্রীদের মধ্যে বেশির ভাগ মহিলা। নাবিকদের মধ্যে মাত্র ছয়জন ইংরেজ ছিল। যাই হোক সেই দিন এক ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের পর এই স্টিমারের সাথে কোনো ভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। এতো যাত্রী , নাবিক লস্কর নিয়ে যেন কপূরের মতো হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছিলো। অনেকটা আজকের দিনে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ৩৭০ এর মতো ঘটনা। কোথায় গেলো এই জাহাজ? কোনো বিপদে পড়লো না তো? শুরু হলো জোর তল্লাশি। কিন্তু কোথাও এই জাহাজের খোঁজ মিললো না। এই ভাবে দুইদিন কেটে যাওয়ার পর অন্য কিছু জাহাজ থেকে খবর এলো যে তারা গঙ্গার মোহনায় একটি জাহাজের কিছু ভাঙ্গা অংশ এবং প্রচুর লাশ ভেসে যেতে দেখেছে।
এরপর সরকার তদন্ত চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছলো যে '' ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলা স্যার জন লরেন্স জাহাজটির সলিলসমাধি হয়েছে এবং আরোহী এবং নাবিকদের প্রত্যেকেই এই জাহাজডুবিতে নিহত হয়েছে''। নিহত যাত্রীদের তালিকায় কিছু ইংরেজ মহিলাও ছিলেন।এই ঘটনার কিছুদিন পর কিছু ইংরেজ মহিলা এই জাহাজডুবিতে নিহতদের স্মৃতি রক্ষার্থে বর্তমান ছোটুলাল ঘটে বাংলা এবং ইংলিশে একটি ফলক স্থাপন করেন। যাতে লেখা আছে
'' ইং ১৮৮৭ সালের ২৫ এ মে তারিখের ঝটিকাবত্ত সার জন লারেন্স বাস্পীয় জাহাজের সহিত যে সকল তীর্থযাত্রি (আধিকাংশ স্ত্রীলোক) জলমগ্ন হইয়াছেন তাহাদিগের স্মরণার্থ কয়েকটি ইংরাজ রমণী কর্ত্তক এই প্রস্তর ফলক খানি উৎসীগৃত হইল।''
এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায় তৎকালীন ভদ্রলোক বাবু সমাজে ।যেহেতু নিহতদের বেশিরভাগ সমাজের এই অংশের মহিলা ছিলেন তাই শিক্ষিত কলকাতার বাবুরা এই ঘটনার সূত্র ধরে তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকারের তুলোধোনা করতে লাগলো।কিছুদিন আগে সমাপ্ত হওয়া দার্জিলিং হিমালয়ান রেললাইনকে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়ে বলা হতে লাগলো যে ভারতে ব্রিটিশেরা রেললাইন তৈরী করছে শুধু নিজেদের সুবিধা এবং আমোদ প্রমোদের জন্য।সাধারণ ভারতবাসীদের জন্য ব্রিটিশদের কোনো হেলদোল নেই। পুরী পর্যন্ত রেল সংযোগ থাকলে এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। তারা এও বলতে লাগলো যে যদি ব্রিটিশ সরকার এই মুহূর্তে পুরীকে রেল মাধ্যমে যুক্ত করার ঘোষণা করে তাহলে ভারতের ১৬ কোটি হিন্দু ব্রিটিশ সরকারের এই দানকে চিরদিন মনে রাখবে।
শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের চাপের কাছে ব্রিটিশ সরকার নতি স্বীকার করে এবং কলকাতা থেকে কটক হয়ে পুরী পর্যন্ত রেল লাইন পাতার কাজ শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ১৮৯৯ সালে কলকাতা থেকে পুরীর রেলপথ জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।কিন্তু ওড়িশার কিছু বড় নদীর উপর ব্রিজ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ার জন্য ১৯০০ সালের আগে কলকাতা থেকে সরাসরি ট্রেনে পুরী পৌঁছনো সম্ভব হয়নি।
আজ যখুন গঙ্গার ওপারে হাওড়া স্টেশন থেকে একের পর এক সুপারফাস্ট ট্রেন একদল যাত্রীকে নিয়ে পুরী রওনা দিচ্ছে তখন গঙ্গার ঠিক এপারে ছোটুলাল বাবুর ঘাটের এক প্রান্তে অবহেলায় ক্রমশ মলিন হচ্ছে এই প্রস্তর স্মৃতি ফলক। যাদের স্মৃতিতে এটা বানানো তারাও একদিন ছিল পুরীযাত্রী। কিন্তু ভাগ্যের করুন পরিহাসে তাদের আর পৌঁছনো হয়ে ওঠেনি।কিন্তু সেই ৭৮০ টা প্রাণ আমাদের দিয়ে গেছে পুরী পর্যন্ত এক আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। আত্মবিস্মৃত বাঙালী আজ সেই ইতিহাস মনে রাখেনি।
তথ্যসূত্র : Wreck of Sir John Lawrence,The advent of Kolkata - Puri rail link by Rangan Dutta
:Shipwreck that got the Railways to Odisha, The Pioneer, Bhubaneswar
ছবি : নিজস্ব।প্রাচীন স্টিমারের ছবিটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত।
Complete link click here
কিন্তু কলকাতা থেকে পুরীর ট্রেন সংযোগের পিছনে রয়েছে একটা ভয়ঙ্কর জাহাজডুবি এবং ৭৮০ জনের মৃত্যুর এক করুণ ইতিহাস।
দীর্ঘদিন ধরে ভারতের আর পাঁচটা তীর্থস্থানের মতো পুরীধামেও লোকে পদব্রজে যাতায়াত করত। সে পথ ছিল যেমন বিপদসংকুল তেমনি দুর্গম । লেগে যেত বেশ কয়েক মাস। পথে ছিল ডাকাত, মহামারী, বন্যার ভয়। এমনকি ব্রিটিশ আমলেও এই পরিস্থিতির তেমন নড়চড় হয়নি।প্রচুর তীর্থযাত্রী পথে মারা যেত। এই পথকে বলা হতো "জগন্নাথ সড়ক'' উনিশ শতকের মাঝামাঝি একবার ''মার্শমান '' এবং ''স্টিফেনসন'' দুই ব্রিটিশ প্রোমোটার কলকাতা ও পুরীর মধ্যে রেলরোড তৈরী করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কোনো কারণে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৮৭০ সাল নাগাদ সরকারি হিসেব অনুসারে প্রায় বছরে পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ যাত্রী পুরী যাচ্ছিলো। ক্রমেই তাই হিন্দুদের মধ্যে জোরালো হতে থাকে পুরী পর্যন্ত একটি ট্রেনলাইন স্থাপনের দাবি। কিন্তু ব্রিটিশ প্রভুদের কাছে সেই দাবি ধোপে টেকেনি।
এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসে কিছু প্রাইভেট স্টীমার কোম্পানি। তারা তাদের ছোট বাষ্পীয় জাহাজে কলকাতা থেকে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যেত চাঁদবালি অবধি। সেখান থেকে তারা পালকি করে কটক হয়ে পুরী পৌঁছতো। কিন্তু টিকিটের দাম ছিল আকাশছোয়া , তাই এই জলপথ ছিল নিম্নমধ্যবিত্তের ধরাছোয়ার বাইরে। একমাত্ৰ জমিদার এবং বাবুশ্রেনী লোকেদের মা, বিধবা বোন. বৌ দের জন্য ছিল এই ব্যবস্থা। বর্তমানে কলকাতার ছটুলাল ঘাট থেকে ছাড়তো এই স্টিমারগুলি।
এই রকম এক ছোট স্টীমার ছিল ''ম্যাকলিন এন্ড কং '' এর '' স্যার জন লরেন্স''।১৮৮৭ সাল। তারিখটা ২৫ শে মে। ঘূর্ণিঝড়ের মরসুম। এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে কিছু বছর আগে বিধ্বংসী ''আয়লা'' ঐদিনই পশ্চিমবাংলার বুকে আছড়ে পরে।প্রায় ৭৫০ যাত্রী এবং ৩০ জন নাবিক নিয়ে ''স্যার জন লরেন্স '' চাঁদবালির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। যাত্রীদের মধ্যে বেশির ভাগ মহিলা। নাবিকদের মধ্যে মাত্র ছয়জন ইংরেজ ছিল। যাই হোক সেই দিন এক ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের পর এই স্টিমারের সাথে কোনো ভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। এতো যাত্রী , নাবিক লস্কর নিয়ে যেন কপূরের মতো হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছিলো। অনেকটা আজকের দিনে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ৩৭০ এর মতো ঘটনা। কোথায় গেলো এই জাহাজ? কোনো বিপদে পড়লো না তো? শুরু হলো জোর তল্লাশি। কিন্তু কোথাও এই জাহাজের খোঁজ মিললো না। এই ভাবে দুইদিন কেটে যাওয়ার পর অন্য কিছু জাহাজ থেকে খবর এলো যে তারা গঙ্গার মোহনায় একটি জাহাজের কিছু ভাঙ্গা অংশ এবং প্রচুর লাশ ভেসে যেতে দেখেছে।
এরপর সরকার তদন্ত চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছলো যে '' ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলা স্যার জন লরেন্স জাহাজটির সলিলসমাধি হয়েছে এবং আরোহী এবং নাবিকদের প্রত্যেকেই এই জাহাজডুবিতে নিহত হয়েছে''। নিহত যাত্রীদের তালিকায় কিছু ইংরেজ মহিলাও ছিলেন।এই ঘটনার কিছুদিন পর কিছু ইংরেজ মহিলা এই জাহাজডুবিতে নিহতদের স্মৃতি রক্ষার্থে বর্তমান ছোটুলাল ঘটে বাংলা এবং ইংলিশে একটি ফলক স্থাপন করেন। যাতে লেখা আছে
'' ইং ১৮৮৭ সালের ২৫ এ মে তারিখের ঝটিকাবত্ত সার জন লারেন্স বাস্পীয় জাহাজের সহিত যে সকল তীর্থযাত্রি (আধিকাংশ স্ত্রীলোক) জলমগ্ন হইয়াছেন তাহাদিগের স্মরণার্থ কয়েকটি ইংরাজ রমণী কর্ত্তক এই প্রস্তর ফলক খানি উৎসীগৃত হইল।''
এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায় তৎকালীন ভদ্রলোক বাবু সমাজে ।যেহেতু নিহতদের বেশিরভাগ সমাজের এই অংশের মহিলা ছিলেন তাই শিক্ষিত কলকাতার বাবুরা এই ঘটনার সূত্র ধরে তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকারের তুলোধোনা করতে লাগলো।কিছুদিন আগে সমাপ্ত হওয়া দার্জিলিং হিমালয়ান রেললাইনকে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়ে বলা হতে লাগলো যে ভারতে ব্রিটিশেরা রেললাইন তৈরী করছে শুধু নিজেদের সুবিধা এবং আমোদ প্রমোদের জন্য।সাধারণ ভারতবাসীদের জন্য ব্রিটিশদের কোনো হেলদোল নেই। পুরী পর্যন্ত রেল সংযোগ থাকলে এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। তারা এও বলতে লাগলো যে যদি ব্রিটিশ সরকার এই মুহূর্তে পুরীকে রেল মাধ্যমে যুক্ত করার ঘোষণা করে তাহলে ভারতের ১৬ কোটি হিন্দু ব্রিটিশ সরকারের এই দানকে চিরদিন মনে রাখবে।
শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের চাপের কাছে ব্রিটিশ সরকার নতি স্বীকার করে এবং কলকাতা থেকে কটক হয়ে পুরী পর্যন্ত রেল লাইন পাতার কাজ শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ১৮৯৯ সালে কলকাতা থেকে পুরীর রেলপথ জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।কিন্তু ওড়িশার কিছু বড় নদীর উপর ব্রিজ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ার জন্য ১৯০০ সালের আগে কলকাতা থেকে সরাসরি ট্রেনে পুরী পৌঁছনো সম্ভব হয়নি।
আজ যখুন গঙ্গার ওপারে হাওড়া স্টেশন থেকে একের পর এক সুপারফাস্ট ট্রেন একদল যাত্রীকে নিয়ে পুরী রওনা দিচ্ছে তখন গঙ্গার ঠিক এপারে ছোটুলাল বাবুর ঘাটের এক প্রান্তে অবহেলায় ক্রমশ মলিন হচ্ছে এই প্রস্তর স্মৃতি ফলক। যাদের স্মৃতিতে এটা বানানো তারাও একদিন ছিল পুরীযাত্রী। কিন্তু ভাগ্যের করুন পরিহাসে তাদের আর পৌঁছনো হয়ে ওঠেনি।কিন্তু সেই ৭৮০ টা প্রাণ আমাদের দিয়ে গেছে পুরী পর্যন্ত এক আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। আত্মবিস্মৃত বাঙালী আজ সেই ইতিহাস মনে রাখেনি।
তথ্যসূত্র : Wreck of Sir John Lawrence,The advent of Kolkata - Puri rail link by Rangan Dutta
:Shipwreck that got the Railways to Odisha, The Pioneer, Bhubaneswar
ছবি : নিজস্ব।প্রাচীন স্টিমারের ছবিটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত।
Complete link click here
please wait...Translate to English
please wait...Translate to Hindi
2 Public Posts - Tue Nov 27, 2018
Nov 24 2018 (22:29) 13153/Gour Express (PT) | DKAE/Dankuni Junction (5 PFs)
SAPTARSHI^~
SAPTARSHI^~ 26488 blog postsEntry# 4039172 Tags Past Edits
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Dakshineswar/DAKE added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Sealdah/SDAH added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Bidhan Nagar Road/BNXR added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Dum Dum Junction/DDJ added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Baruipara/BRPA added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Kamarkundu/KQU added by Sapiosexual introvert^/1844918
Jun 08 2019 (18:26)
series
Link
Station Tag: Dakshineswar/DAKE added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Sealdah/SDAH added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Bidhan Nagar Road/BNXR added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Dum Dum Junction/DDJ added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Baruipara/BRPA added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:48)
Station Tag: Kamarkundu/KQU added by Sapiosexual introvert^/1844918
Jun 08 2019 (18:26)
series
Link
#banglagolpo series
কালো কথা-সাদা কথা সাথে মালগাড়ি চড়ার অভিজ্ঞতা
সাদা কালো লেখার বদলে কালো সাদা কেন লিখলাম? সরাসরি ঘটনার বিবরন দিয়ে দিই।
গতকালের ঘটনা। সময় তখন ওই 10 টা বেজে 5 মিনিট। প্রতিদিনের মত অফিস থেকে ফিরছি। বিধাননগর স্টেশনে লাস্ট ডানকুনি লোকাল চাপব বলে। হঠ্যাত করে মাইকে অ্যানাউন্স হল " আপ গৌড় এক্সপ্রেস 2 নম্বর প্ল্যাটফমে আসছে। এই গাড়ি আজ নৈহাটির বদলে ডানকুনি...
more...
কালো কথা-সাদা কথা সাথে মালগাড়ি চড়ার অভিজ্ঞতা
সাদা কালো লেখার বদলে কালো সাদা কেন লিখলাম? সরাসরি ঘটনার বিবরন দিয়ে দিই।
গতকালের ঘটনা। সময় তখন ওই 10 টা বেজে 5 মিনিট। প্রতিদিনের মত অফিস থেকে ফিরছি। বিধাননগর স্টেশনে লাস্ট ডানকুনি লোকাল চাপব বলে। হঠ্যাত করে মাইকে অ্যানাউন্স হল " আপ গৌড় এক্সপ্রেস 2 নম্বর প্ল্যাটফমে আসছে। এই গাড়ি আজ নৈহাটির বদলে ডানকুনি...
more...
হয়ে যাবে। ডানকুনি এবং কামারকুন্ডু স্টেশনে থামবে। শুনে বেশ হকচকিয়ে গিয়েছিলাম। গৌড় এক্সপ্রেস ডানকুনি? ঠিক শুনলাম তো। পাশে দাড়িয়ে থাকা লাস্ট ট্রেনের সহযাত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম, "কি দাদা আমি যা শুনলাম আপনিও কি তাই শুনলেন?এরমধ্যে আরও বেশ কয়েকবার ওই একই ঘোষনা হয়ে গেছে। তাও আরও একবার নিশ্চিত হতে অনুসন্ধান অফিসে গিয়ে জানলাম," দাদা ঠিক করে বলুন গৌড় এক্সপ্রেস কি ডানকুনি দাড়াবে?" ওদিক থেকে উত্তর এল " আজকের দিনের জন্য ডানকুনি এবং কামারকুন্ডু থামবে"। বাহ উত্তম সংবাদ। আজ তাহলে তাড়াতাড়ি বাড়ি পৌছানো যাবে। মনে তখন হেবি আনন্দ। বিধাননগর থেকে এক্কেবারে ডানকুনি। দারুন ব্যাপার। ট্রেন আসল। সামনের জেনারেল বগিতে উঠলাম ওই 7 জন মত। ট্রেন ছাড়ল। এবার শুরু আসল মজা।
দমদম-বরাহনগর ছাড়িয়ে ট্রেন দেখলাম হুহু করে ছুটছে। ডানকুনি নামতে হবে। তাই রাজচন্দ্রপুর ছাড়ার পরই গেটের দিকে এগোলাম। সবাইকে অবাক করে দিয়ে দেখলাম ট্রেন তার গতি আরও বাড়িয়ে দিল। ডানকুনি স্টেশন ছাড়িয়ে বেরিয়ে গেল। সবার মাথায় হাত। কি হবে?
কামারকুন্ডুতেও দাড়াবে তো। সাথে সাথে 182 তে কল করলাম সাহায্য পাওয়ার জন্য। কিন্তু ফোনের ওপারের বাবু সাহায্য করার বদলে এতবার Hello hello বললেন যে আমাদের মানসিক সন্তুলনটাই হেলিয়ে দিল।
এর মধ্যে আরও একটা দুঃসংবাদ। শেষ হাওড়া লোকালটাও কামারকুন্ডু স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে গেছে।
অনেক টেনসন দিয়ে দেখলাম গৌড় এক্সপ্রেস কামারকুন্ডু স্টেশনে থামল।
নেমে দেখি গোটা চত্ত্বরে শুধু আমরা 7 জন প্রাণী।
কি করব কি হবে? ততখনে বাড়ি থেকে বহুবার ফোন আসছে।
তখন আমরা ঠিক করি
যে কামারকুন্ডু স্টেশন মাস্টারকে পুরো ব্যাপারটা বলি। দেখি ওনার থেকে কোনো সাহায্য পাই কিনা।
অগত্যা সবাই মিলে স্টেশন মাস্টারের কাছে গিয়ে পুরো ঘটনার বিবরন দিলাম।
উনি বিষয়টা শুনে বেশ খারাপ বোধ করলেন।
কি করা করা যায়। এত রাতে কেনো ট্রেনও নেই।তখন প্রায় 12.30 বাজে। প্রায় মিনিট দশেক ফোনাফুনির পর আশার আলো।
একটা মালগাড়ি আসছে।10 মিনিটে ঢুকছে কামারকুন্ডু। আপনারা ওই গাড়িতে করে ডানকুনি চলে যান।
অবশেষে মালগাড়ি আসতে তার gurd এর সাথে আমরা উঠে গেলাম।
Guard সাহেব দায়িত্ব নিয়ে একজনকে বেগমপুর আর বাকিদের ডানকুনি পৌছেদিলেন তথন প্রায় 2 টো। বাড়ি ঢুকলাম 2.20
Link click here
দমদম-বরাহনগর ছাড়িয়ে ট্রেন দেখলাম হুহু করে ছুটছে। ডানকুনি নামতে হবে। তাই রাজচন্দ্রপুর ছাড়ার পরই গেটের দিকে এগোলাম। সবাইকে অবাক করে দিয়ে দেখলাম ট্রেন তার গতি আরও বাড়িয়ে দিল। ডানকুনি স্টেশন ছাড়িয়ে বেরিয়ে গেল। সবার মাথায় হাত। কি হবে?
কামারকুন্ডুতেও দাড়াবে তো। সাথে সাথে 182 তে কল করলাম সাহায্য পাওয়ার জন্য। কিন্তু ফোনের ওপারের বাবু সাহায্য করার বদলে এতবার Hello hello বললেন যে আমাদের মানসিক সন্তুলনটাই হেলিয়ে দিল।
এর মধ্যে আরও একটা দুঃসংবাদ। শেষ হাওড়া লোকালটাও কামারকুন্ডু স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে গেছে।
অনেক টেনসন দিয়ে দেখলাম গৌড় এক্সপ্রেস কামারকুন্ডু স্টেশনে থামল।
নেমে দেখি গোটা চত্ত্বরে শুধু আমরা 7 জন প্রাণী।
কি করব কি হবে? ততখনে বাড়ি থেকে বহুবার ফোন আসছে।
তখন আমরা ঠিক করি
যে কামারকুন্ডু স্টেশন মাস্টারকে পুরো ব্যাপারটা বলি। দেখি ওনার থেকে কোনো সাহায্য পাই কিনা।
অগত্যা সবাই মিলে স্টেশন মাস্টারের কাছে গিয়ে পুরো ঘটনার বিবরন দিলাম।
উনি বিষয়টা শুনে বেশ খারাপ বোধ করলেন।
কি করা করা যায়। এত রাতে কেনো ট্রেনও নেই।তখন প্রায় 12.30 বাজে। প্রায় মিনিট দশেক ফোনাফুনির পর আশার আলো।
একটা মালগাড়ি আসছে।10 মিনিটে ঢুকছে কামারকুন্ডু। আপনারা ওই গাড়িতে করে ডানকুনি চলে যান।
অবশেষে মালগাড়ি আসতে তার gurd এর সাথে আমরা উঠে গেলাম।
Guard সাহেব দায়িত্ব নিয়ে একজনকে বেগমপুর আর বাকিদের ডানকুনি পৌছেদিলেন তথন প্রায় 2 টো। বাড়ি ঢুকলাম 2.20
Link click here
please wait...Translate to English
please wait...Translate to Hindi
Nov 24 2018 (22:02) 38907/Howrah - Amta Local | MJH/Maju P.H. (1 PFs)
SAPTARSHI^~
SAPTARSHI^~ 26488 blog postsEntry# 4039102 Tags Past Edits
Mar 28 2020 (16:50)
Station Tag: Santragachi Junction/SRC added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Station Tag: Jalalsi P.H./JLI added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Station Tag: Makardaha/MDC added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Station Tag: Domjur/DJR added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Station Tag: Amta/AMZ added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Train Tag: Howrah - Amta Local/38919 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Train Tag: Howrah - Amta Local/38917 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Train Tag: Howrah - Amta Local/38915 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Train Tag: Howrah - Amta Local/38913 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Train Tag: Santragachi - Amta Local/38911 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Train Tag: Howrah - Amta Local/38909 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Train Tag: Howrah - Amta Local/38907 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Train Tag: Howrah - Amta Local/38905 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Train Tag: Howrah - Amta Local/38903 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Train Tag: Santragachi - Amta Local/38901 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Jun 08 2019 (18:27)
series
Link
Station Tag: Santragachi Junction/SRC added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Station Tag: Jalalsi P.H./JLI added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Station Tag: Makardaha/MDC added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Station Tag: Domjur/DJR added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Station Tag: Amta/AMZ added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Train Tag: Howrah - Amta Local/38919 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Train Tag: Howrah - Amta Local/38917 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Train Tag: Howrah - Amta Local/38915 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Train Tag: Howrah - Amta Local/38913 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Train Tag: Santragachi - Amta Local/38911 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Train Tag: Howrah - Amta Local/38909 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Train Tag: Howrah - Amta Local/38907 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Train Tag: Howrah - Amta Local/38905 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Train Tag: Howrah - Amta Local/38903 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Mar 28 2020 (16:50)
Train Tag: Santragachi - Amta Local/38901 added by Sapiosexual introvert^/1844918
Jun 08 2019 (18:27)
series
Link
#banglagolpo series
।। মিষ্টিমহলের আনাচে কানাচে ।।
লেখা :-দীপক দাস
খ্যাতিমানেরা কি স্বল্পখ্যাতদের দমিয়ে দেয়? না না, মনুষ্য সম্পর্কিত উপলব্ধি নয়। মানবজমিন নিয়ে চাষবাস রামপ্রসাদ সেন, শীর্ষেন্দুবাবুরাই করুন। এ নেহাতই মিষ্টি-কথা। মানে মিষ্টির কথা।
হালের...
more...
।। মিষ্টিমহলের আনাচে কানাচে ।।
লেখা :-দীপক দাস
খ্যাতিমানেরা কি স্বল্পখ্যাতদের দমিয়ে দেয়? না না, মনুষ্য সম্পর্কিত উপলব্ধি নয়। মানবজমিন নিয়ে চাষবাস রামপ্রসাদ সেন, শীর্ষেন্দুবাবুরাই করুন। এ নেহাতই মিষ্টি-কথা। মানে মিষ্টির কথা।
হালের...
more...
রসগোল্লা বা ক্ষীরমোহন নিয়ে বাংলা-ওড়িশার দ্বৈরথে কথাটা হঠাৎ মনে হল। বাঙালি মিষ্টি মানেই রসগুল্লা না হয় মিষ্টি দই। বলিউডি তারকারা এ রাজ্যে এলে হোমওয়ার্ক করে আসেন। আর সাংবাদিকদের সামনে বলেন, ‘হামি রসগুল্লা আর মিষ্টি দোই বালবাসি।’ যেন রসগুল্লা ছাড়া বাংলায় আর কোনও মিষ্টি মেলে না। ব্যক্তিগত মত, রসগোল্লার জন্য বাঙালির হেদিয়ে মরার প্রাবল্যে অনেক ভাল মিষ্টি সেই ভাবে প্রচার পায়নি। প্রচার আর বিপণনের অভাবে তারা স্থানীয় মিষ্টি হয়েই রয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ হারিয়ে গিয়েছে। শুধু হাতের নাগালের বাইরে থেকে যাওয়ায় বহু বাঙালির রসনা তাদের স্বাদ বঞ্চিত হচ্ছে। সেই রাগেই লেখার শুরুতে খ্যাতিমানদের একটু গাল দিয়ে নান্দীমুখ করে নিলুম।
আমি অবশ্য কিছুটা ভাগ্যবান। নানা কার্যকারণ সূত্রে বেশ কয়েকটি স্থানীয় মিষ্টিকে জিভের নাগালের মধ্যে আনতে পেরেছি। স্থানীয় মিষ্টির কথা যখন হচ্ছে তখন একেবারেই স্থানীয়ভাবে শুরু করা যাক।
হাওড়া জেলার জগৎবল্লভপুর ব্লকের বাসিন্দা আমি। এই ব্লকেই আছে মাজু নামে একটি জায়গা। যেখানে পাওয়া যায় খইচুর নামে একটি মিষ্টি। নামটা প্রথম শুনেছিলুম আমাদের ইস্কুলের শিক্ষক গৌরবাবুর কাছ থেকে। পরে গিয়ে যখন খোঁজ নিয়েছিলুম তখন খইচুর তার কৌলিন্য হারিয়েছে। মাজু বাজারে একটা মাত্র দোকানের ময়লা শোকেসে পুরনো অ্যালুমিনিয়ামের ট্রে-শয্যায় শুয়ে হাঁফ ছাড়ছে। অথচ একসময় দারুণ নাম ছিল এই মিষ্টির। সারি সারি দোকান ছিল মাজুতে।
তখন হাওড়া-আমতা রুটে চলত স্যার বীরেন মুখার্জির ছোট রেল। সকলে মার্টিন রেল বলেই জানতেন। ওই রুটেই পড়ে মাজু। হকারেরা দোকানগুলো থেকে খইচুর কিনে ট্রেনে ফেরি করতেন। ১৯৭১ সাল নাগাদ বন্ধ হয়ে গেল মার্টিন রেল। মাজুও স্থানীয় অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেল। খইচুরও। খদ্দেরের অভাবে দোকানগুলোও বন্ধ হতে শুরু করল। একটি দোকানই মাজুর মিষ্টির ঐতিহ্য ধরে রেখেছিল। এখন সেটি আছে? আর তৈরি করে কিনা জানা নেই। ভাল ধানের (নামটা বলেছিলেন দোকান মালিক। এখন ভুলে গিয়েছি) খই, গুড়, সুগন্ধী মশলা দিয়ে তৈরি খইচুর। গোল্লা পাকানোর সময়ে কারিগরের হাতের তালুতে ঘি মেঘে নেন। খেতে অনেকটা জয়নগরের মোয়ার মতো। ও হ্যাঁ, জয়নগরের মোয়া খেয়েছি। তবে তা কলকাতা থেকে কেনা। সেগুলো জয়নগর জাতক না জগজীবনপুরের, তা জানি নে।
হাওড়ারই আমতায় পাওয়া যায় ভাল পান্তুয়া। বেশ নাম। খেতেও অন্যরকম। মোটেও বাজার চলতি পান্তুয়ার মতো থ্যাসথেসে নয়। ছালটা মোটা। সেই বর্মের গর্ভে এলাচদানা রসে ডুবে ঘাপটি মেরে বসে। এক দোকানদার জানিয়েছিলেন, তাঁরা পয়সা বাঁচানোর জন্য লোক ঠকান না। অন্য জায়গার পান্তুয়ার মতো নিভু নিভু আঁচে পান্তুয়া ভাজলে তাড়াতাড়ি লাল রং আসে বটে। কিন্তু পান্তুয়া নরম থাকে। একটু কাঁচা কাঁচা ধরনের। আর গনগনে আগুনে ভাজলে চামড়া মোটা হয়। কিন্তু ভেতরটা থাকে সাদা। প্রচলিত আছে, অনেককাল আগের পুরনো কারিগরদের হাতে তৈরি পান্তুয়া কানের কাছে নিয়ে নাড়ালে ভিতরে রসের ছলাৎ ছলাৎ আওয়াজ পাওয়া যেত। এখন সেখানে অনেক নতুন দোকান হয়েছে। কিন্তু চরিত আর দেনেদের পুরনো দোকান থেকে কিনলেই ভাল জিনিসটা মেলে। ও হ্যাঁ, কিনতে গেলে সকালের দিকে যাওয়াই ভাল। পুরনো দোকানগুলোর পান্তুয়া দুপুরের মধ্যে শেষ হয়ে যায়।।
Link click here
আমি অবশ্য কিছুটা ভাগ্যবান। নানা কার্যকারণ সূত্রে বেশ কয়েকটি স্থানীয় মিষ্টিকে জিভের নাগালের মধ্যে আনতে পেরেছি। স্থানীয় মিষ্টির কথা যখন হচ্ছে তখন একেবারেই স্থানীয়ভাবে শুরু করা যাক।
হাওড়া জেলার জগৎবল্লভপুর ব্লকের বাসিন্দা আমি। এই ব্লকেই আছে মাজু নামে একটি জায়গা। যেখানে পাওয়া যায় খইচুর নামে একটি মিষ্টি। নামটা প্রথম শুনেছিলুম আমাদের ইস্কুলের শিক্ষক গৌরবাবুর কাছ থেকে। পরে গিয়ে যখন খোঁজ নিয়েছিলুম তখন খইচুর তার কৌলিন্য হারিয়েছে। মাজু বাজারে একটা মাত্র দোকানের ময়লা শোকেসে পুরনো অ্যালুমিনিয়ামের ট্রে-শয্যায় শুয়ে হাঁফ ছাড়ছে। অথচ একসময় দারুণ নাম ছিল এই মিষ্টির। সারি সারি দোকান ছিল মাজুতে।
তখন হাওড়া-আমতা রুটে চলত স্যার বীরেন মুখার্জির ছোট রেল। সকলে মার্টিন রেল বলেই জানতেন। ওই রুটেই পড়ে মাজু। হকারেরা দোকানগুলো থেকে খইচুর কিনে ট্রেনে ফেরি করতেন। ১৯৭১ সাল নাগাদ বন্ধ হয়ে গেল মার্টিন রেল। মাজুও স্থানীয় অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেল। খইচুরও। খদ্দেরের অভাবে দোকানগুলোও বন্ধ হতে শুরু করল। একটি দোকানই মাজুর মিষ্টির ঐতিহ্য ধরে রেখেছিল। এখন সেটি আছে? আর তৈরি করে কিনা জানা নেই। ভাল ধানের (নামটা বলেছিলেন দোকান মালিক। এখন ভুলে গিয়েছি) খই, গুড়, সুগন্ধী মশলা দিয়ে তৈরি খইচুর। গোল্লা পাকানোর সময়ে কারিগরের হাতের তালুতে ঘি মেঘে নেন। খেতে অনেকটা জয়নগরের মোয়ার মতো। ও হ্যাঁ, জয়নগরের মোয়া খেয়েছি। তবে তা কলকাতা থেকে কেনা। সেগুলো জয়নগর জাতক না জগজীবনপুরের, তা জানি নে।
হাওড়ারই আমতায় পাওয়া যায় ভাল পান্তুয়া। বেশ নাম। খেতেও অন্যরকম। মোটেও বাজার চলতি পান্তুয়ার মতো থ্যাসথেসে নয়। ছালটা মোটা। সেই বর্মের গর্ভে এলাচদানা রসে ডুবে ঘাপটি মেরে বসে। এক দোকানদার জানিয়েছিলেন, তাঁরা পয়সা বাঁচানোর জন্য লোক ঠকান না। অন্য জায়গার পান্তুয়ার মতো নিভু নিভু আঁচে পান্তুয়া ভাজলে তাড়াতাড়ি লাল রং আসে বটে। কিন্তু পান্তুয়া নরম থাকে। একটু কাঁচা কাঁচা ধরনের। আর গনগনে আগুনে ভাজলে চামড়া মোটা হয়। কিন্তু ভেতরটা থাকে সাদা। প্রচলিত আছে, অনেককাল আগের পুরনো কারিগরদের হাতে তৈরি পান্তুয়া কানের কাছে নিয়ে নাড়ালে ভিতরে রসের ছলাৎ ছলাৎ আওয়াজ পাওয়া যেত। এখন সেখানে অনেক নতুন দোকান হয়েছে। কিন্তু চরিত আর দেনেদের পুরনো দোকান থেকে কিনলেই ভাল জিনিসটা মেলে। ও হ্যাঁ, কিনতে গেলে সকালের দিকে যাওয়াই ভাল। পুরনো দোকানগুলোর পান্তুয়া দুপুরের মধ্যে শেষ হয়ে যায়।।
Link click here
please wait...Translate to English
#banglagolpo series. The story of Mistimohol.
Written by: Deepak Das.
What, famous people suppress lesser-known ones? No no, it's not about human-related discoveries. Let's talk about sweets. And by sweets, I mean misti in Bengali. When I hear about this, I suddenly remember rasgulla and ras malai. Bengalis don't just consider rasgulla as a sweet, they also include misti doi. Bollywood stars come to this state and say, "We will only eat rasgulla and misti doi." It seems that there are no other sweets in Bengali. In my personal opinion, due to the strong preference for rasgulla, many good sweets have not been popularized. They have remained local sweets due to a lack of advertising and marketing. Some have disappeared. Many Bengalis' taste buds are deprived because they only buy things from outside. At the beginning of the article, out of rage, Nandimukh expressed his opinion. I'm lucky though. I'm bringing several local sweets to my tongue through various ways...
Written by: Deepak Das.
What, famous people suppress lesser-known ones? No no, it's not about human-related discoveries. Let's talk about sweets. And by sweets, I mean misti in Bengali. When I hear about this, I suddenly remember rasgulla and ras malai. Bengalis don't just consider rasgulla as a sweet, they also include misti doi. Bollywood stars come to this state and say, "We will only eat rasgulla and misti doi." It seems that there are no other sweets in Bengali. In my personal opinion, due to the strong preference for rasgulla, many good sweets have not been popularized. They have remained local sweets due to a lack of advertising and marketing. Some have disappeared. Many Bengalis' taste buds are deprived because they only buy things from outside. At the beginning of the article, out of rage, Nandimukh expressed his opinion. I'm lucky though. I'm bringing several local sweets to my tongue through various ways...
please wait...Translate to Hindi