পথে পরীক্ষামূলক ভাবে রেল
ইঞ্জিন চালানো হয়। এদিন নতুন রেল
লাইনে পূজা দিয়ে ও নারকেল ফাটিয়ে
পরীক্ষামূলক রেল চলাচলের শুভ সূচনা
করেন উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের চিফ
ইঞ্জিনিয়ার বি এস মীনা। উপস্থিত
ছিলেন রেল ও বিএসএফের বিভিন্ন
আধিকারিকেরা। রেল দফতর সূত্রে জানা
গিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই
চুড়ান্ত ভাবে পন্যবাহী রেল গাড়ি চলাচল
শুরু হয়ে যাবে। এরফলে ভারতের
কাটিহার থেকে বাংলাদেশের বিরল
পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
চেম্বার অফ কমার্সের কালিয়াগঞ্জ
শাখার সম্পাদক সুনীল সাহা বলেন, এই
যোগাযোগ চালু হওয়ার ফলে দুই দেশের
ব্যবসায়ীক উন্নতি হবে। পন্য আমদানি
রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
উল্ল্যেখ্য কাটিহার পার্বতীপুর রুট-
একসময়ে ভারতীয় রেলের অন্যতম
গুরুত্বপূর্ন তথা লাভজনক রেলরুট ছিল।
উত্তর ও পশ্চিম ভারতের সাথে আসামের
যোগাযোগের মাধ্যমই ছিল এই শতাব্দী
প্রাচীন রেল লাইন। রায়গঞ্জ তথা
এতদঞ্চলের বহু সংখ্যক মানুষ এই লাইন
দিয়েই অধুনা বাংলাদেশের পার্বতিপুর
জংশন থেকে কলকাতা যেত দার্জিলিং
মেল ধরে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর
এই সেকসনে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল
বন্ধ হয়ে যায়। কিন্ত পন্যবাহী ট্রেন চলত
সেই দিনও।
এই শতাব্দীর প্রথম দশকে এন ডি এ
সরকারের সিদ্ধান্ত মতো সারা দেশের
পাশাপাশি কাটিহার সেকশনেও
মিটারগেজ লাইন পরিবর্তন করে ব্রডগেজ
করা হয়। আর তারপরই এই রুটে রেল
যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। কারন
রাধিকাপুরের পর বাংলাদেশের
প্রান্তিক স্টেশন বিরল থেকে
পার্বতীপুর জংশন পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইন
ছিল না।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম
বন্দর থেকে নেপালের যোগবানী পর্যন্ত
সরাসরি রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা করার
জন্যই এই রেল লাইন আবার ব্যবহার করা
হবে। নেপালের নিজস্ব রেল যোগাযোগ
ব্যবস্থা না থাকার জন্য ভারত সরকার
রেল ইঞ্জিন, ওয়াগান প্রভৃতি দিয়ে
নেপাল সরকারকে সাহায্য করবে।
#Sandip