প্রত্যেক মঙ্গলবার হাওড়া স্টেশনে আমার এক হৃদয়বিদারক অভিজ্ঞতা হয়। ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকে ময়লাটে ব্ল্যাক ডায়মণ্ড এক্সপ্রেস। তাতে উঠে কয়লার গুঁড়োর ম্যারিনেশনে হাফবয়েল ডিম হয়ে রানিগঞ্জ পোঁছুতে সাড়ে নটা বেজেই যায়৷ কিন্তু হাওড়ায় প্রায় তার ই গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকে রাঁচীমুখী শতাব্দী এক্সপ্রেস। ঝাঁ চকচকে স্মার্ট কর্পোরেট যুবার মতোন হাবভাব তার। মায় তার জানলাগুলোও ব্ল্যাকের থেকে উঁচুতে। স্রেফ দু'ঘন্টায় রানিগঞ্জ পৌছুয়। সুন্দর নীলচে গদিওয়ালা সীট গুলো আমাকে নিশির ডাকের মতোন ডাকে। আমি বিশ্রী ছোটো অপরিসর সীটে বসে বসে ভাবি একদিন আমিও শতাব্দী চড়ে রানীগঞ্জ যাব৷ কিন্তু ভাড়া চার-পাঁচ গুণ বেশি হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই আজ অব্দি টিকিট কেটে উঠতে পারিনি। সাধ আর সাধ্যের তফাত বোঝা হয়ে যায় আরো একবার। মনে মনে ডি.এ পে.কমিশন ইত্যাদি কে খানিক কষিয়ে গালমন্দ করে নি৷ যদিও এটাও জানিযে মাইনে বাড়লেও ৬০০ টাকা ভাড়া দিয়ে দু'ঘন্টা ট্রেন জান্নি পোষাবে না! -_-
...
more... সে যাই হোক...ইদানিং শতাব্দী চড়তে না পারার হতাশা থেকে আর ও দিকে যেচে তাকাই না বড়৷ আজ ঝিমুতে ঝিমুতে ব্ল্যাক ডায়মন্ডে নিজের সীটে বস্লুম৷ হঠাৎ দেখি সামনে এক ফর্সা আর হ্যান্ডসাম হিরো মাফিক লোক আমার দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেসে দিলে৷ তারপর দেখি সে মক্কেল জানলার দিকে তাকিয়ে বেজায় খুশি হয়েছে। হাত নেড়ে নেড়ে ওদের ভাষায় কিসব বলছে। আমিও তাকিয়ে দেখি পাশের প্ল্যাটফর্ম এ গা ঘেঁষে হতচ্ছাড়া শতাব্দী দাঁড়িয়ে৷ আর ওই ট্রেনে আমাদের জানলার পাশাপাশি বসেছে আরেক ফুটফুটে হিরোইন৷ সেও তার মায়ের কোল থেকে আরাধনার শর্মিলার মতোন লাজুক লাজুক হাসছে আর হাত নাড়ছে। দুই বেয়ান অবশ্য ব্যাপার টা কেমন ভাবে নিচ্ছে বোঝা যাচ্ছিল না। জাত ধর্ম স্টেটাসে কী আর শতাব্দী আর ব্ল্যাক ডায়মণ্ডের মিল হয়!! কিন্তু আমি এদের নীরব প্রেম কাহিনী টা পড়ে ফেলায় হিরো ভারী বিরক্ত হয়েছে আমার ওপর৷ আর হাসছেনা। :/ নআ হাসুক গে। প্রেমিকার বিদায়ে কেঁদেকেটে না জ্বালালেই হল -_-
By Mayurakshi Das
click here#banglaGolpo Series
please wait...Translate to EnglishEvery Tuesday I have a heartwarming experience at Howrah Station. The Mayiladuthurai Black Diamond Express stands at platform 8. It's full of coal-black marinaded boiled eggs on half-plate, headed to Raniganj at night. But almost in its shadow stands the Ranchi-Mukhi Centennial Express. Glinting like a smart corporate youth, it's vibe is different. Even its windows are higher than the Black's. In an hour Raniganj is reached. The beautiful blue cushioned seats call me like a silent invitation. I sit quietly in a small, uncomfortable seat, thinking maybe one day I too will travel to Raniganj in style. But since the fare is four to five times more, naturally today I couldn't afford the ticket. Accepting the limitations of reality, I understand even more. Mentally cursing the Railways and the P. Commission, with the fare hike the two-hour journey has no gain! 😒
Whatever it may be...shifting my disappointment of not being able to afford the Centennial to another angle, I don't sulk. Slowly, I make way to my seat in the Black Diamond amidst drizzle. Suddenly, in front, I see a tall, handsome hero looking at me and chuckling. Then I see him turn to the window, smiling broadly. They are conversing softly. I too glance at the platform beside us and spot a Centennial standing hastily. Another heroine sits near our window in the same train. She too is smiling shyly like a shy maiden leaning on her mother. Their shared silent love story was beyond my comprehension. What kind of connection does caste, religion, status have with the Centennial and the Black Diamond!! But reading their silent love story makes the hero furiously irritated on me. He doesn't smile at me. :/ Nope, no laughing out loud here. Don't get carried away. Even in a lover's goodbye, tears and flaming make -_-
